টরন্টো, ১৬ ফেব্রুয়ারি- গত সোমবার টরন্টোয় এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্ত্রী নাঈমা সুলতানাসহ টরন্টোয় ছুটে আসেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। বুধবার দুপুরে তারা টরন্টোতে পৌঁছে সন্তানকে দেখতে ছুটে যান হাসপাতালে। নিবিড়ের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার খবর নেন কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে।
এ প্রতিবেদককে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘নিবিড়ের চিকিৎসার এখনো দুইটা স্টেজ আছে। সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় যদি সেই দুটি স্টেজ সুন্দরভাবে পার করে আসতে পারি, তখন বলব, শতভাগ সফল।’
দুইটা পর্যায় কী কী, জানতে চাইলে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘দুইটা স্টেজের মধ্যে আছে স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার এবং জ্ঞান ফিরে পাওয়ার বিষয়টি। ওর শরীরে ব্যথা আছে। এর মধ্যে বুধবার রাতে পাকস্থলীর একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে।’
কুমার বিশ্বজিৎ জানান, দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর নিবিড়ের শরীরে দুটো অস্ত্রোপচার হয়েছে। প্রথমটা মস্তিষ্কে, মস্তিষ্কে যে রক্ত জমাট ছিল, তা বের করা হয়েছে। আর দ্বিতীয়টা পাকস্থলীতে। আরও কয়েকটা স্টেজ রয়ে গেছে। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
কুমার বিশ্বজিৎ আরও জানান, ‘নিবিড়ের আরও একটা অস্ত্রোপচার হতে পারে। চিকিৎসকেরা ভাবছেন, ওর একটা স্ট্রোকও হয়তো হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে এবং জ্ঞান ফিরলে সবার শেষে এই অস্ত্রোপচার করা হবে।’
কুমার বিশ্বজিৎ জানান, নিবিড়ের অবস্থা এখন অপরিবর্তিত। কোনো অবনতি নেই। টরন্টো ডাউন টাউনের সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। আর নিবিড়ের সার্জারির দায়িত্ব যিনি আছেন, তিনি নিউরোর বেস্ট সার্জন।
মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় নিবিড় কুমার আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও একই দুর্ঘটনায় তার সহপাঠি অন্য তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় নিবিড় চালকের আসনে ছিলেন। অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ (ওপিপি) জানায়, টরন্টোর হাইওয়ে ৪২৭-এর ডানডাস স্ট্রিট ওয়েস্টে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সময় গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। সড়ক বিভাজনে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চারজন আরোহী ছিলেন।
এম ইউ/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩