এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সতীর্থ বাবর আজমের খারাপ সময়ে পক্ষে কথা বলে বিপদে পড়েছিলেন ফখর জামান। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এতদিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাবরের পক্ষে নিয়ে করা পোস্টের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ফখর।
এক অনুষ্ঠানে ফখর বলেছেন, ‘আমি পরে বিষয়টা নিয়ে ভেবেছি যে, আমার আসলে তখন টুইটটা করা উচিত হয়নি। তবে লোকে আমার পোস্টটা ভুলভাবে নিয়েছে। তারা ভেবেছে আমি বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করেছি। এটা শতভাগ ভুল। আপনি যদি আমার টুইটের সময়টা দেখেন, দেখা যাবে বোর্ডের সিদ্ধান্তের আগে পোস্ট করেছিলাম।’
‘আমি ২-৩ দিন ধরে নিউজে দেখছিলাম সাংবাদিকরা এবং সাবেক ক্রিকেটাররা বাবরের সমালোচনা করছিলেন। মনে করেছিলাম বাবর দলের জন্য অনেককিছু করেছে, তবুও তারা চাচ্ছিলেন যেন বাবরকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়।’
‘বুঝতে পারছি যে, কেউই বোর্ডের ঊর্ধ্বে নয়। তরুণ ক্রিকেটারদের এটাও বলতে চাই যে, তোমরা যত বড়ই হও না কেনো, কেউই বোর্ডের ঊর্ধ্বে নয় এবং তোমাদের তাদের সমালোচনা করা উচিত নয়, যখন তোমরা খেলা চালিয়ে যাচ্ছো। তবে হ্যাঁ, আমার ব্যাখ্যাটা হচ্ছে টুইটটা করেছিলাম বোর্ডের সিদ্ধান্তের আগে।’
গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ছন্দে না থাকা বাবরকে বাদ দেয়ার প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফখর লিখেছিলেন, ‘বাবর আজমকে বাদ দেয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। ২০২০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ফর্মে না থাকলেও বিরাট কোহলিকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়নি ভারত। সেসময় তার গড় ছিল যথাক্রমে ১৯.৩৩, ২৮.২১ ও ২৬.৫০।’
‘যদি আমাদের প্রধান ব্যাটসম্যানকে (বাবর) দূরে সরিয়ে দেয়ার কথা বিবেচনা করি, তাহলে এটি পুরো দলকে গভীর নেতিবাচক বার্তা পাঠাতে পারে। নিঃসন্দেহে সে পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ব্যাটার। প্যানিক বোতাম এড়ানোর এখনও সময় আছে। আমাদের মূল খেলোয়াড়দের দুর্বল করার পরিবর্তে তাদের সুরক্ষার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।’
পিসিবির দল ঘোষণার মিনিট দশেক আগে এক্স হ্যান্ডলে মন্তব্যটি করেছিলেন ফখর। পরে দেখা যায়, বাবরের সঙ্গে বাদ দেয়া হয়েছে দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে। সেসময় ফখরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় পিসিবি।