ওয়াশিংটন, ০৯ আগস্ট – যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী ১৫ আগস্ট আলাস্কায় বসবেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বৈঠকের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। পরে ক্রেমলিনও বিষয়টি নিশ্চিত করে আলাস্কাকে ‘যৌক্তিক স্থান’ হিসেবে উল্লেখ করে।
ক্রেমলিন জানায়, ট্রাম্পকে ভবিষ্যতে রাশিয়ায় দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইউক্রেন পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ট্রাম্প বৈঠকের পূর্বে হোয়াইট হাউসে বলেন, ‘তিন বছরের বেশি সময় ধরে এসব অঞ্চলে লড়াই চলছে। অনেক রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রাণ হারিয়েছে। কিছু জায়গা ফেরত আসবে, কিছু জায়গা অদলবদল হবে দুই পক্ষেরই মঙ্গলের জন্য।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে কিছু অঞ্চল রাশিয়ার হাতে ছাড়তে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজ জানায়, আলোচনায় রাশিয়া দনবাস ও ক্রিমিয়া রাখবে, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চল ছেড়ে দেবে বলে প্রস্তাব আসতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, পুতিন মস্কোয় ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে একই প্রস্তাব দিয়েছেন।
তবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই ধরনের সমঝোতার প্রতি স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট করেছেন, সীমান্ত ছাড়ার কোনো শর্ত তিনি গ্রহণ করবেন না।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, বৈঠকের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়নি এবং জেলেনস্কিও এতে যুক্ত হতে পারেন। বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ দখলে রেখেছে। তিন দফা সরাসরি আলোচনা হলেও শান্তিচুক্তি নিয়ে পার্থক্য কমেনি।
রাশিয়ার শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাখা, সামরিক শক্তি কমানো, ন্যাটো যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ও দক্ষিণ-পূর্বের চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে ত্রিপক্ষীয় শান্তি চুক্তির সুযোগ আছে এবং ‘ইউরোপীয় নেতারা শান্তি চান, পুতিন চান, জেলেনস্কিও চান।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর এটাই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। শেষবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ২০২১ সালে, তখন জো বাইডেন ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এনএন/ ০৯ আগস্ট ২০২৫