আরেকটি নতুন বছরে পা দিল বাংলাদেশ | চ্যানেল আই অনলাইন

ঘড়ির কাটায় এখন ১২ টা বেজে গেছে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন আজ। আরেকটি নতুন বছরে পা দিল পৃথিবী নামের এই গ্রহ। আরেকটি বছর যুক্ত হল বয়সের খাতায়, আরকেটি বার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করলো পৃথিবী। ২০২৩ সালকে বিদায় জানিয়ে নানান আয়োজনের মাধ্যমে পুরোনো গ্লানি ভুলে ২০২৪ কে বরণ করে নিয়েছে পৃথিবীবাসী। নতুন বছরকে ঘিরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে নানান আয়োজন।

বর্ণিল আয়োজনে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে ওশেনিয়া মহাদেশের দেশ কিরিবাতি, সামোয়া ও টোঙ্গা। এরপরই ২০২৪ কে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ধীরে ধীরে এবার নতুন বছরকে স্বাগত জানালো বাংলাদেশ।

Bkash

করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, নতুন নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার, বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, বিক্ষোভ, হামলাসহ নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত ছিল বিদায়ী ২০২৩। বাংলাদেশের জন্যও বছরটি ছিল মিশ্র অনুভূতির। একদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ও মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু, দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, বিশ্ব ব্যাংকের প্রশংসা, সার্বজনীন পেনশন চালু, মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ, অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের এশিয়া কাপ জয়সহ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাওয়া। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা, হত্যা, দুর্ঘটনা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের মৃত্যু, মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি। এই ভাল-মন্দ সবকিছুকে সাথে নিয়েই ২০২৪ সালে পা দিল বাংলাদেশ।

Reneta June

নতুন বছর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশও প্রস্তুত। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিষ্টাব্দ তাই আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দের সমাহার নিয়ে আমাদের জীবনে নববর্ষের আগমন ঘটে। তাই বিগত দিনের ভুল-ভ্রান্তি, ব্যর্থতা ও হতাশাকে দূরে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন ও ইতিবাচক পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এছাড়া একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ আমরা যে সময়কে পেছনে ফেলে নতুন দিনের আলোয় উদ্ভাসিত হতে যাচ্ছি, সে সময়ের যাবতীয় অর্জন আমাদের সম্মুখ যাত্রার শক্তিশালী সোপান হিসেবে কাজ করছে। তাই নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণের সোপান রচনা করার অনুপ্রেরণা। শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক, সকল সংকট দূরীভূত হোক, সকল সংকীর্ণতা পরাভূত হোক এবং সকলের জীবনে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এই প্রার্থনা করি।

নববর্ষ মানেই সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ, বিশেষ করে যুব সমাজ মধ্যরাতে ১২ টা ১ মিনিট বাজার সঙ্গে সঙ্গে নববর্ষের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

Scroll to Top