বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবসময় যুব ক্রিকেটারদের কদর অন্যরকম। যে কারণে প্রতিনিয়ত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্যাম্প ও সিরিজ আয়োজন করে থাকে বিসিবি। সেই ধারাবাহিকতায় যুব টাইগারদের নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে চারদিনের ম্যাচের পর ওয়ানডে সিরিজও নিজেদের দখলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হলেও শেষ তিন ম্যাচ জিতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে কালাম সিদ্দিকী এলিনের দল। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আজ (শুক্রবার) শের-ই বাংলায় বাংলাদেশ ৯ উইকেটে হারিয়েছে আরব আমিরাতের যুবাদের। ১৩৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জাওয়াদ আবরার ও কালাম সিদ্দিকী এলিনের উদ্বোধনী জুটিতেই স্বাগতিকরা জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
এর আগে মূলত টাইগারদের স্পিন বিষে নীল হয়েছেন আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। মাত্র ৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন দেবাশীষ সরকার। পরে মাত্র এক উইকেট খরচায় বাংলাদেশ জয় পায় ৯ উইকেটে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় শুরুটাও ভালো করে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৩ রান এলেও পরের ওভারে চার-ছক্কা মেরে রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন জাওয়াদ। সেখান থেকে স্বাগতিকদের আর পেছনে তাকাতে দেননি দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লেতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলারদের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছেন দুজন। জাওয়াদ তিনটি করে ছক্কা-চারে ৪৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন।
জাওয়াদ ফেরার পর এলিনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েন শাহরিয়াল আজমীর তূর্য। হাফসেঞ্চুরি না পেলেও ৪২ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন এলিন। শাহরিয়ালও করেছেন ৩৭ বলে ৩৯ রান। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ২৯.২ ওভার বাকি থাকতেই হ্যাটট্রিক জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
এর আগে দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ২ উইকেট হারায় তারা। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন উদ্দিশ সুরি। এ ছাড়া ইয়াইন কিরন রায় ২৩, ইথান কার্ল ডি সুজা ১৮ এবং করন ধীমান ১৬ রান করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে ৪ রানে ৪ উইকেট নেন দেবাশীষ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আল ফাহাদ, সাদ ইসলাম রাজিন, সামিউন বাশির রাতুল, ফারহান শাহরিয়ার ও রিজান হোসেন।