তানজিন তিশা, সাফা কবির, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়ার মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় চলছে শোবিজ অঙ্গনে। মাদকাসক্ত মডেল, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই এখন এ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।
সূত্র জানায়, মাদকসহ গ্রেপ্তার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে তথ্যপ্রমাণসহ সাফা কবির, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, তানজিন তিশা এবং সুনিধি নায়েকের নাম বেরিয়ে আসে। একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা নিয়মিত মাদক সংগ্রহ করে আসছিলেন। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিজ্ঞাপন
এমন পরিস্থিতিতে একটু আগেই এক ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সেই পোস্টে তিনি কারও নাম উল্লেখ না করলেও শোবিজের জনপ্রিয় এক তারকা দম্পতিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করছে নেটিজেনরা। কারণ, তিনি তার পোস্টে এমন কিছু ক্লু দিয়েছেন যাতে সহজেই বোঝা যায় কাদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো লিখেছেন।
সোহানা সাবা লিখেছেন, ‘সবাই বলছে আমি কেন মাদককাণ্ডে “রিলের বঙ্গমাতার” স্ক্রিনশট পোস্ট করছি না? করছি না কারণ, ওর হাজবেন্ডের মত আমাদের আজাইরা স্ক্রিনশট বেচার ব্যবসা নাই!’
বিজ্ঞাপন
‘রিলে বঙ্গমাতা’ কথাটি দিয়েই সাবা মোটামুটি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার কথাই বলেছেন। কারণ তিশা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বায়োপিকে বঙ্গমাতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর স্বামী প্রখ্যাত নির্মাতা ও বর্তমানে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এই পোস্টের কমেন্ট বক্সেও তিশা-ফারুকীকে ইঙ্গিত করেই একাধিক মন্তব্য এসেছে। শাহাদাৎ রাসেল নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ডিসেম্বরের পরে সবাইকে দেখে নেবে হিজবুতি ফারুকীর বউ। সবাই সাবধান’। একই কথা এসেছে জনপ্রিয় তারকা মেহের আফরোজ শাওনের কমেন্টেও। তিনি লিখেছেন, ‘ডিসেম্বরের পর সবাইকে দেখে নিবে।’
এদিকে জানা গেছে, শোবিজের অনেকেই শুধু মাদক সেবন নয়, মাদক কারবারেও জড়িত। ফলে মাদকসংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে- এমন আতঙ্কে ভুগছেন তাদের অনেকেই। অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তাকে হঠাৎ করেই সরিয়ে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা নানাভাবে তাদের প্রভাব খাটাচ্ছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) মহাপরিচালক (ডিজি) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তলবের জন্য ব্যবস্থা নেবেন তদন্ত কর্মকর্তা।