দুর্ঘটনার পর আয়েশা ও তাঁর মাকে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা আয়শাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তাঁর মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, সন্তান হারানোর শোকে আহাজারি করছেন সাজ্জাদুন নূর। বারবার বলছিলেন, ‘আমার মেয়েটা কী দোষ করেছে। আমি হয়তো গুনাহ করেছি, আমার ৩০ বছর বয়স হয়েছে। আমার দুই বছরের বাচ্চাটা কী করেছে।’ একটি পানি বোতল দেখিয়ে তিনি বলেন, মেয়েটা পানি খেতে চেয়েছিল। তাই বোতল কিনেছি। এখন সব শেষ।
সাজ্জাদুন পেশায় গ্রাফিকস ডিজাইনার। আয়েশা ছিল তাঁদের একমাত্র সন্তান। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন সাজ্জাদুন। পরিবার নিয়ে ঈদ উদ্যাপন করতে বোয়ালখালী উপজেলার পূর্বগোমদণ্ডী ইউনিয়নে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ বাড়ি ফিরতে হল শিশু কন্যার মরদেহ নিয়ে।