
ডলি বেগম—এক অনন্য নাম, এক নিরহংকারী, প্রজ্ঞাবান এবং কর্মনিষ্ঠ নারীর প্রতিচ্ছবি। কানাডার বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে তিনি পরিচিত মুখ। শুধু কানাডাতেই নয়, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছেও তিনি এক পরিচিত নাম। ২০১৮ সালে অন্টারিও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেন, বাঙালির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন। মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য তিনি যে পথ খুলে দিয়েছেন, তা আজও নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
আবারও বিজয়ের ডাক
বন্ধুগণ, আমাদের এই গর্বের কন্যাকে আবারও বিজয়ী করার সময় এসেছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অন্টারিও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আমাদের লক্ষ্য একটাই—ডলি বেগমকে আবার বিজয়ের মুকুট পরানো। বৃহত্তর টরন্টোর বাঙালি কমিউনিটি ইতোমধ্যেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই চায়, ডলি বেগম আবারও জয়ী হয়ে এগিয়ে যান। সচেতন নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের আবেগ প্রকাশ করছেন, সরাসরি ভোট ও সমর্থন চাইছেন।
ডলি বেগম জিতলে বাংলাদেশ জিতবে
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ডলি বেগমের সমর্থনে তাঁদের মূল্যবান মতামত প্রকাশ করেছেন।
বিশিষ্ট লেখক আকতার হোসেন লিখেছেন—
“কানাডার প্রাদেশিক পরিষদের প্রার্থী হলেও ডলি বেগম যেন আমাদের পরিবারের এক সদস্য। আমার বড় বোনের নামও ডলি, তাই আমি এই ডলিকেও নিজের বোন মনে করি এবং তার জন্য আপনাদের কাছে একটি ভোট চাই।”
প্রকৌশলী নওশের আলী লিখেছেন—
“বাংলাদেশি কমিউনিটির একমাত্র প্রতিনিধি, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের অধিকারী ডলি বেগমকে নির্বাচিত করতে দলমত নির্বিশেষে সবাই একাট্টা হয়েছে। আমাদের সবার একটাই কথা—ডলি জিতলে আমরা জিতব!”
কৃষিবিদ ফাইজুল করিম লিখেছেন—
“গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবিকতা ও সততার মানদণ্ডে ডলি বেগম অনন্যা। তাঁর ধৈর্য, সহনশীলতা এবং বিনয় সর্বজনবিদিত। এত কম সময়ে রাজনীতির ময়দানে এত মানুষের ভালোবাসা পাওয়া বিরল।”
‘নতুনদেশ’-এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন— “এমপিপি হিসেবে ডলি বেগমের কর্মতৎপরতা মূলধারার মিডিয়ায় দৃশ্যমান ছিল। প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে তিনি নিজেকে অভিবাসীদের কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।”
লেখক-গবেষক ড. মঞ্জুরে খোদা (টরিক) লিখেছেন— ‘’ডলি বেগমকে আবার নির্বাচিত করতে হবে। একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে তিনি বিদেশের মাটিতে আমাদের গৌরবকে তুলে ধরতে পেরেছেন। তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা, তারুণ্য ও কমিউনিটির প্রতি আন্তরিক ভালোবাসার জন্যই তিনি আমাদের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক মিয়া বলেন— ‘’ডলি বেগম কুইন্স পার্কে আমাদের কণ্ঠস্বর। তিনি সংসদে উচ্চকণ্ঠে আমাদের পক্ষে কথা বলেন, তাই তাকে আরও চার বছরের জন্য প্রয়োজন।”
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব টরন্টোর সাবেক সভাপতি, প্রকৌশলী রেজাউর রহমান বলেন—
“ডলি বেগম কানাডায় বাংলাদেশি কমিউনিটির অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছেন। এখন আমাদের পালা তাকে আবার নির্বাচিত করার, যাতে আমাদের কমিউনিটি আরও শক্তিশালী হয় এবং অন্টারিও আরও উন্নত হয়।”
সদ্য প্রয়াত ব্যারিস্টার রিজওয়ান রহমান লিখেছিলেন— ‘’গৌরবের ইতিহাস যেমন একা তৈরি করা যায় না, তেমনি তা একা রক্ষা করাও সম্ভব নয়। এ দায়িত্ব আমাদের সবার।”
আসুন, সবাই মিলে গৌরবের এই ইতিহাস রক্ষা করি। ২৭ ফেব্রুয়ারি, আমরা সবাই একসঙ্গে দাঁড়াই ডলি বেগমের পাশে—আমাদের গর্বের কন্যাকে আবারও বিজয়ী করতে।