আবু সাঈদের মৃত্যু ‘অধিক উত্তম, সম্মানের, শ্রেয়’

আবু সাঈদের মৃত্যু ‘অধিক উত্তম, সম্মানের, শ্রেয়’

সরকারি রক্তচক্ষুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করার কাজ অব্যাহত রেখেছিল শহীদ আবু সাঈদ। ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনীর মার খেয়েও দমে যায়নি, বরং নিজেকে আরও দৃঢ় করে তুলেছিল আন্দোলনে। সে সময় সরকার যা চাইত, তাই হতো। সেই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আবু সাঈদের মৃত্যু ঘটনাক্রমে নয়। বয়সে তরুণ হলেও তার বুদ্ধির স্তর ছিল পরিণত। বুদ্ধিদীপ্ত ছিল তার অবস্থান।

আন্দোলনকে চাঙা করতে ফেসবুকে সে নূরলদীন, ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা, শামসুজ্জোহা, রফিক,শফিক, বরকতকে নিয়ে লিখেছে। সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে লিখেছে। আন্দোলনের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করেছে।

শহীদ আবু সাঈদ ১৫ জুলাই ফেসবুকে অনেকগুলো পোস্ট করে। সব কটি কোটা সংস্কারের জন্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক হলেও তার অর্থ কোটা আন্দোলনের সীমাকে ছাড়িয়ে যায়। শহীদ শামসুজ্জোহার মারা যাওয়ার আগের দিন কী বলেছিলেন, তা উল্লেখ করেও একটি পোস্ট দিয়েছিল। শহীদ শামসুজ্জোহার উক্তিটি—‘আজ আমি ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত। এরপর কোন গুলি হলে তা ছাত্রকে না লেগে যেন আমার গায়ে লাগে।’ আবু সাঈদের মন্তব্য ছিল—‘অন্তত একজন শামসুজ্জোহা হয়ে মরে যাওয়াটা অনেক বেশি আনন্দের, সম্মানের আর গর্বের।’ এটাই ছিল ফেসবুকে তার শেষ পোস্ট।

Scroll to Top