জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সংসদে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি হচ্ছে, পিআর হতে হবে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে। সেই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করবো।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পিআর দাবি বিষয়ে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, এটার কারণ হচ্ছে ৫৪ বছরের নির্বাচনের পদ্ধতিতে আমরা দেখেছি, এখানে ফেয়ার ইলেকশন কখনো নিশ্চিত করা যায়নি। পিআর পদ্ধতি হচ্ছে একটি আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা। যে পদ্ধতিতে প্রতিটি দলের সারাদেশে পাওয়া মোট ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী সব সময় নির্বাচনের পক্ষে। ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, সেই তারিখের ব্যাপারে জামায়াতে মৌলিক কোন আপত্তি নেই। কারণ আমরা আগে থেকেই বলেছি নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হতে পারে।
বিগত তিনটা নির্বাচনের উদাহরণ টেনে জামায়াতের এই নেতা বলেন, অতীতে তিনটি নির্বাচন যেভাবে হয়েছে তাতে নির্বাচন নিয়ে মানুষের শঙ্কাটা কাটেনি। সেজন্য সরকারকে অনেকগুলো উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।
এই নির্বাচনের আগে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও জানান আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, আমরা সিইসিকে বলেছি নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। উনি আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন আমার দিক থেকে সাধ্যমত সিরিয়াস থাকবো। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওপর আস্থা রাখতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কোন আনফেয়ার ইলেকশন দেখতে চায় না। এরকম কোন কিছু হলে এদেশের মানুষ আবারও রাস্তায় নামবে। কোন দখলীয় নির্বাচন এদেশের মানুষ আর গ্রহণ করবে না।