মুম্বাই, ২১ মার্চ – বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানি মুখার্জি এবং যশ রাজ ফিল্মসের চেয়ারম্যান আদিত্য চোপড়া ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের কন্যা আদিরা জন্মগ্রহণ করে ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর। রানি তার ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই অত্যন্ত গোপন রেখেছেন, বিশেষ করে তার মেয়েকে মিডিয়া থেকে দূরে রেখেছেন।
আদিত্য চোপড়া নিজেকে ক্যামেরার সামনে আনার ক্ষেত্রে সর্বদা অস্বচ্ছন্দ ছিলেন, যদিও তাকে অল্প সময়ের জন্য নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টরি ‘দ্য রোম্যান্টিকস’-এ দেখা যায়। তবে রানি মাঝেমধ্যে কিছু মিডিয়া সাক্ষাতকারে সামান্য ব্যক্তিগত কথা বলেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে রানি মুখার্জি স্বামী সম্পর্কে বলেন, আদিত্য যেভাবে চলচ্চিত্র জগতের অংশ থেকেও নিজেকে এতটা ব্যক্তিগত পরিসরে রাখতে পেরেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
আদিত্য চোপড়ার প্রেমে পড়া প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর প্রেমে পড়েছিলাম কারণ তিনি অত্যন্ত ব্যক্তিগত (পরিবারকেন্দ্রিক)। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার পর, আদিই (আদিত্য চোপড়া) একজন মানুষ যাকে আমি সম্মান করেছি। এই ফ্র্যাটারনিটির (চলচ্চিত্রজগতের) মানুষদের সম্মান করা কঠিন, কারণ আপনি সবকিছু ভেতর থেকে জানেন। তাই আদি ছিলেন সেই বিরল মানুষদের একজন, যাকে আমি সম্মান করেছি, এখনো করি, তার নীতিবোধ, কাজের ধরণ এবং যেভাবে সে নিজেকে রাখে—এসব কারণে। আমি নিজেও ব্যক্তিগত পরিসর বজায় রাখা মানুষ, তাই আমরা ভালো দম্পতি, কারণ আমরা কোথাও না গিয়েও খুব খুশি থাকি।’
তিনি আরও বলেন, আদির যদি করণ জোহরের মতো স্বভাব হতো, আমি মনে করি না আমি তার প্রেমে পড়তাম। করণ, সবখানে করণ খুব সামাজিক এবং পার্টির প্রাণ। প্রতিদিনই তিনি কিছু না কিছু করছেন। কিন্তু আমার ব্যাপারটা ভিন্ন—আমি আমার পরিবারকে ঘরে চাই। আমি খুব পারিবারিক মানুষ। আমি পাগল হয়ে যেতাম যদি আমার স্বামী কাজ করেই চলত; এমনিতেই সে প্রায় সময় স্টুডিওতেই থাকে। কল্পনা করুন, যদি সে তার ছবির বাইরেও একটি সামাজিক জীবনও বজায় রাখত, তাহলে তো আমি ওকে একদমই দেখতে পেতাম না। আমি খুব খুশি এবং সন্তুষ্ট যে সে সামাজিক নয়। কাজ শেষে সে আমার কাছে ফিরে আসে।
রানি মুখার্জিকে শেষবার দেখা গিয়েছে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে। তিনি এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন ‘মারদানি ৩’-এর জন্য। জানা গেছে, ২০২৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
আইএ/ ২১ মার্চ ২০২৫