‘স্মার্ট বাংলাদেশ’- এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত ২৬ জুলাই ঢাকা ও চট্টগ্রামে সফলভাবে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করে গ্রামীণফোন। এর ধারাবাহিকতায়, প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিজেদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে গ্রাহকদের ফাইভজি ট্রায়াল শুরু করেছে।
সম্প্রতি রাজধানীর জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যেখানে আমন্ত্রিত অতিথি ও মিডিয়া স্টেকহোল্ডাররা গ্রামীণফোনের ইনোভেশন ল্যাবে ফাইভজি সেবা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ পান। তারা এআর ভিডিও, ভিআর গেমিং, রোবটিক আর্মস, এআর সেলফি ও ক্লাউড গেমিং সহ প্রযুক্তিগত নানা অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান অনুষ্ঠানে ৫জি বিষয়ে কিনোট উপস্থাপন করেন।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই গ্রামীণফোন দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইউজ কেস সহ ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করে। এর ধারাবাহিকতায়, টেক সার্ভিস লিডার এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের আট বিভাগে গ্রাহকদের ফাইভজি সেবা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, “দেশজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয়, আমাদের দেশ ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি সেবা প্রদানে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেখানে আমরা সবাই কাজ করছি। কিন্ত বিষয়টা এমন নয় নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানানো যাবে না। ফাইভজি অভিজ্ঞতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ দিতে চাই, যার ফলে মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে পারবেন।”
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান তার মূল বক্তব্যে বলেন, “প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের ক্ষমতায়ন ও সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে গ্রামীণফোন। আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে চলমান ডিজিটালাইজেশন ত্বরাণ্বিত করার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর লক্ষ্য অর্জনের দায়িত্ব আমাদের সবার। টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি থেকে এখন ফাইভজি কানেক্টিভিটি যুগেও উচ্চগতির কানেক্টিভিটি এবং উন্নত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্যুশন নিয়ে দেশের রূপান্তরে আমরা কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “টেলিনরের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারিগরি সক্ষমতা রয়েছে; বৈশ্বিক পরিসরে এক্ষেত্রে টেলিনরের বিভিন্ন উদাহরণ রয়েছে; যা আমরা স্থানীয় বাজারের উপযোগী করে প্রয়োগ করতে পারি। বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে এ খাত-বান্ধব পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে করে ফাইভজি প্রযুক্তির সুবিধা সবাই গ্রহণ করতে পারে। এ পথচলায় আমদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান ও আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য আমি সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ইকোসিস্টেমের অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ফাইভজি’র শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ, সমাজ ও সর্বোপরি দেশের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত তৈরির এখনই সময় বলে আমি মনে করি।”
আগামী ২৯ সেম্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফাইভজি কানেক্টিভিটির অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করবে গ্রামীণফোন। যার মধ্যে রয়েছে- গুলশান জিপিসি, বিটিআরসি সার্ভিস আইবি (ঢাকা), বুয়েট বিল্ডিং, মিরাবাজার (সিলেট), কলাতলী (কক্সবাজার), খুলনা, গ্রামীণফোন আঞ্চলিক অফিস, ময়মনসিংহ; রাজশাহী আলুপট্টি মোড়, রংপুর নিউ মার্কেট (সিটি করপোরেশন, পায়রা চত্বর), চট্টগ্রাম পাহাড়তলী ও গ্রামীণফোন আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা।