আওয়ামী লীগ সরকার ও গণমানুষের অর্থনীতি

আওয়ামী লীগ সরকার ও গণমানুষের অর্থনীতি


ফিচার ডেস্ক

২১ জুন ২০২৪ ১৬:৪৭

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু তার সহকর্মীদের নিয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রয়াস নেন। এজন্য গঠন করা হয় একটি পরিকল্পনা কমিশন। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার ধ্যানধারণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম শুরু হয়। কৃষি, শিল্প, ভূমি ব্যবস্থাপনা, বৈদেশিক বাণিজ্য, রাজস্ব আদায়পদ্ধতি, সরকারি ব্যয় ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের অবস্থান দৃঢ়তর হতে থাকে। পরিকল্পিত উপায়ে দেশ গঠন এবং জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-৭৮) প্রণীত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছা অনুসারে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে প্ল্যানিং কমিশন প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এই পুনর্গঠিত প্ল্যানিং কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিজের হাতে রাখেন বঙ্গবন্ধু।

প্ল্যানিং কমিশনের কাজের বিষয়ে বলা হয়:

(১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আর্থ-সামাজিক উদ্দেশ্যাবলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য বার্ষিক, পঞ্চ বার্ষিক ও পটভূমি তৈরিতে জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।
(২) জাতীয় পরিকল্পনার রূপরেখার মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি তৈরি করবে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নীতিমালাও নির্ধারণ করবে।
(৩) সম্পাদিত পরিকল্পনার মূল্যায়ন করবে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতির দিকে নিরবচ্ছিন্নভাবে লক্ষ রাখবে। জাতীয় পরিকল্পনার মূল্যায়ন প্রস্তুত করতে এসব করতে হবে।
(৪) অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে এবং অর্থনৈতিক নীতি এবং ব্যবস্থাদি প্রকাশ করবে।
(৫) বহিঃসাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণ করে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্যের মোট পরিমাণ এবং প্রকৃতি নিয়ে দেনদরবার করবে।
(৬) জাতীয় পরিকল্পনার মূল্যায়নের সঙ্গে বহিঃঋণ বিষয় পরীক্ষা করে তৎসম্পর্কে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।
(৭) কার্যকরী পরিকল্পনা এবং উন্নয়নের সমর্থনে অর্থনৈতিক গবেষণার ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা এগিয়ে নিতে এবং জরিপ ও প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
(৮) জাতীয় পরিকল্পনার বার্ষিক কর্মসূচি এবং অর্থনৈতিক নীতিমালা কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রাপ্তব্য প্রক্রিয়ার প্রকৃতির বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করবে।
(৯) পরিকল্পনা প্রণয়নে উদ্বুদ্ধ করতে এবং প্রয়োজনে তা সূচনা করতে হবে; জাতীয় উদ্দেশ্যের সঙ্গে পরিকল্পনাগুলি সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা নির্ণয় করতে কর্মসূচি গ্রহণ এবং পরিকল্পনা সম্বন্ধে পরীক্ষা এবং পরামর্শ প্রদান করতে হবে।
(১০) অনুমোদিত পরিকল্পনাগুলোতে বিশেষ করে সাহায্য প্রাপ্ত পরিকল্পনাগুলার বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্বন্ধে পর্যালোচনা করতে হবে; এসব বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণসমূহ এবং অসুবিধাসমূহকে চিহ্নিত করতে হবে ও তা দূর করার উপায় বের করতে হবে

পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-৭৮)-এর উদ্দেশ্য:

বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধুর আমলে প্রণীত হলেও, তিনি এর বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি। তার আগেই, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে নির্মমভাবে হত্যা করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা। তবু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর আমলে প্রণীত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা এবং অবদান অনবদ্য।

১. দারিদ্র্য দূরীকরণ ও বেকারদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি, কম মজুরিতে নিযুক্তদের মজুরি বৃদ্ধি, জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সমতাভিত্তিক আইনব্যবস্থা।
২. পুনর্নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখা, কৃষি ও শিল্প খাতসহ অর্থনীতির প্রধান প্রধান ক্ষেত্রে উৎপাদন সামর্থ্যও সময়োপযোগী মাত্রায় বৃদ্ধি করা।
৩. বাৎসরিক জিডিপি অন্তত ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি, সার্বক্ষণিক চাকরির সংখ্যা ৪১ লাখে উন্নীতকরণ, অসংগঠিত খাতের শ্রমশক্তিকে সংগঠিত করা, সম্পাদনযোগ্য, উন্নয়নমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
৪. খাদ্য, বস্ত্র, ভোজ্যতেল, কেরোসিন এবং চিনির মতো অপরিহার্য দ্রব্যসামগ্রীর প্রাপ্তি ও স্বল্প মূল্য নিশ্চিত করা।
৫. দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করা এবং অপরিহার্য দ্রব্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে মূল্য কমানো।
৬. মাথাপ্রতি বাৎসরিক আয় অন্তত ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা। এমনভাবে গতিনির্ধারণ করা যাতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সম্পদের তুলনায় অধিক হারে বাৎসরিক আয় ভোগ করতে পারে।
৭. সমাজতন্ত্রে রূপান্তর প্রচেষ্টায় অর্জিত সাফল্যকে সমন্বিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে সমাজতন্ত্রমুখী করা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সাধন করা।
৮. দেশীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির মাধ্যমে পরনির্ভরতা কমিয়ে আনা। রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণ এবং দক্ষতার সাথে আমদানি-বিকল্প খুঁজে বের করার মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিময়ের ভারসাম্যহীনতা রোধ করা।
৯. খাদ্যশস্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরতা অর্জন, কৃষি ক্ষেত্রে কর্মের সুযোগে সম্প্রসারণ এবং শহরমুখী শ্রমিক স্রোত ঠেকানোর উদ্দেশ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরিভিত্তিক কৃষিভিত্তি গড়ে তোলা।
১০. জনসংখ্যা পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণের একটি উচ্চাভিলাষী বুনিয়াদ সম্পাদন করা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অঙ্গীকার ও সামাজিক সচেতনতা নিশ্চিত করা, জনসংখ্যা পরিকল্পনার জন্য একটি যথে পিযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো সৃষ্টি অনবরত ও নিবিড় মূল্যায়ন ও গবেষণার ব্যবস্থাসম্পন্ন পরিবার-পরিকল্পনার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বাৎসরিক জনবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে নামিয়ে আনা।
১১. শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ গৃহায়ন এবং জল সরবরাহব্যবস্থা ইত্যাদির মাধ্যমে চিরাচরিতভাবে অবহেলিত সামাজিক ও মানবসম্পদের উন্নয়নসাধন। সমগ্র দেশে, ভৌগলিক অঞ্চল নির্বিশেষে সমহারে আয় ও কর্মের সুযোগ সম্প্রসারিত করা, অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারিত অঞ্চলে শ্রমিকের গমনাগমন উৎসাহিত করা।
১৯৭৩ সালে প্রণীত পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের উন্নয়নের রূপরেখার মধ্যে ১৯৭২ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত সংবিধানের মূলনীতিসমূহের উপস্থিতি লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব পরিকল্পনাবিদগণ এমনভাবে যুক্ত করে দিয়েছিলেন, তাতে বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের সংগ্রামী আদর্শই একাকার হয়ে গিয়েছিল। শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শোষক-শক্তির কবল থেকে সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে মুক্ত করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করার কৌশল এই পরিকল্পনায় ছিল।

১৯৭৩ সালে প্রণীত পাঁচসালা পরিকল্পনার শেষে অর্থাৎ ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরের জন্য মাথাপিছু আয় ১৯৬৯-৭০ অর্থবছরের (পাকিস্তান আমলের) মাথাপিছু আয় অপেক্ষা সামান্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়। সতর্কতার সঙ্গে কৃষি এবং কৃষিবহির্ভূত ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপায়গুলি সম্বন্ধে পরিকল্পনায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের বহু সংখ্যক বেকার ও অর্ধ-বেকার জনশক্তিকে উৎপাদনশীল কাজে সুযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিদেশি ঋণ গ্রহণের চিরাচরিত প্রথা নিরুৎসাহিত করে পরিকল্পনায় মন্তব্য করা হয় যে, সহজ শর্তে পর্যাপ্ত ঋণ পাওয়া যায় না, তবে কঠিন শর্তে যেসব ঋণ পাওয়া যায় তা অতি দ্রুত জনগণের কাঁধে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। অধিক মাত্রায় ঋণনির্ভরতা নিরুৎসাহিত করা হয় পরিকল্পনায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বকীয়তার পরিপন্থী ঋণ গ্রহণ না করার জন্যেও সুপারিশ করা হয়।

পরিকল্পনা প্রণয়নকালে কমিশন লক্ষ করেছিল যে, ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহনির্মাণের প্রবৃদ্ধি বার্ষিক মাত্র ১ শতাংশে স্থির রয়েছে। এই প্রবৃদ্ধিকে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ৪ গুণ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রস্তাব রেখে বলা হয় যে, সরকারকেই অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি প্রণয়ন করে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করতে হবে।

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান ভিত্তিই হচ্ছে কৃষি। এ দেশের রাজনীতি, সমাজনীতিতেও কৃষির অবদান যুগ যুগ ধরে বিদ্যমান। কৃষির ব্যাপক ভূমিকা যাতে অক্ষুন্ন থাকে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিকল্পনা কমিশনের সতর্ক দৃষ্টি সেদিকে ছিল। যৌথ চাষাবাদের ব্যবস্থায় গ্রাম সমবায় প্রকল্পের বিষয়টি পরিকল্পনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। উৎপাদন বৃদ্ধি, সুষম বণ্টন, কর্মসংস্থান ও গ্রামের উন্নয়নকে সামনে রেখে গ্রাম-উন্নয়নের প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়। প্রতিটি গ্রাম-সমবায় সমিতি গঠনের জন্য পরিকল্পনায় ২৯৯ একর থেকে ৫০০ একর পর্যন্ত ভূমি নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কমিশন যে রূপরেখা দেয়, তাতে বাংলাদেশে উৎপাদনমুখী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সৃষ্টিশীল রাজনৈতিক সমন্বয় ও সংহতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নিহিত ছিল। সারা দেশে গণমুখী ও উৎপাদনমুখী রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি এবং ক্রমেই দেশের গ্রাম-সমবায়ে লাখ লাখ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, সুশৃঙ্খল ও আত্মনির্ভরশীল কর্মী তৈরি হবে এমন প্রত্যাশা ছিল। সমবায়ব্যবস্থা সমাজজীবনে যুগান্তকারী পরিবর্তনের ধারা সৃষ্টি করলে সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসের পার্থক্য কমে আসবে, দুর্বলের ওপর সবলের নির্যাতনের সুযোগ হ্রাস পাবে এবং পশ্চাৎপদ গোষ্ঠীদের কল্যাণ নিশ্চিত হবে এমন আশার কথা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রতিফলিত হয়। দেশের চাহিদা মিটিয়েও প্রায় ১০০ লাখ টন চালের উদ্বৃত্ত ধরা হয় পরিকল্পনাভুক্ত ফসল উৎপাদন ক্ষেত্রে।

বাংলাদেশের মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং অপ্রতুল সম্পদের দেশে সর্বস্তরের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাম্য নিশ্চিত করার জন্য বৃহত্তর উৎপাদন উপাদানের সামাজিকীকরণ ছাড়া কোন পথ নেই, এমন চিন্তা বঙ্গবন্ধুর মনে দৃঢ়মূল ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্ল্যানিং কমিশনকে পরিকল্পনা প্রণয়নের ধারণা দিয়েছিলেন। এটিই বাংলাদেশের প্রথম অর্থনৈতিক দলিল। এই দলিলে শুধু অর্থনীতির বিষয়বস্তুই তুলে ধরা হয়নি, এতে নিঃস্বার্থ রাজনৈতিক অঙ্গীকার, প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনযন্ত্রের বিশদ ধারণা সরকারকে দেওয়া হয়। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার যাতে কোন অস্বস্তিতে না পড়ে, সেজন্যই পরিকল্পনায় যাবতীয়। বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সরকারকে এই ঐতিহাসিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশীয় স্বার্থবাদী গােষ্ঠীর চক্রান্ত, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং প্রশাসনযন্ত্রের দুর্নীতিবাজেরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকার প্রতিষ্ঠা করে এদেশকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য এবং আদর্শ থেকে বিচ্যুত করে।

সারাবাংলা/এসবিডিই


আওয়ামী লীগ সরকার ও গণমানুষের অর্থনীতি

Scroll to Top