বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ স্থানগুলোর র্যাঙ্কিংয়ে সবসময়ই প্রথম সারিতে দেখা যায় এশিয়ার শহরগুলোকে। আরও স্পষ্টভাবে বললে দক্ষিণ এশিয়া। এই অঞ্চলের একাধিক মেগাসিটিকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় দূষিত বাতাসের নগরীর তালিকায়। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ দশ শহরের পাঁচটিই এই অঞ্চলের, সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার স্কোর ১৭৩, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত।
দূষণের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি যার স্কোর ১৪৯। তালিকার তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে হ্যানয় (১৪৭), কাঠমান্ডু (১২৫) ও উহান (১১৯)।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বৈশ্বিক সূচকে শহরগুলোর অবস্থান।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে থাকে। একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। স্কোর যদি ২০০’র বেশি হয় তাহলে সেটি খুবই অস্বাস্থ্যকর। সবশেষ, স্কোর যদি ৩০০ অতিক্রম করে তাহলে সেই বাতাস ‘বিপজ্জনক’।
প্রসঙ্গত, ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছরের নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস।
/এমএইচআর