অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের শান্ত শহর মিলডুরায় বইছে শীতল হাওয়া। এই শীতেই প্রবাসী বাঙালিরা আয়োজন করেছে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবের।
রবিবার (২৭ জুলাই) মিলডুরার ইনল্যান্ড বোটানিক্যাল গার্ডেনের কমিউনিটি সেন্টারে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
পিঠা উৎসবের শুরুতেই বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
ডা. রুম্মান চৌধুরীর সঞ্চালনায় উৎসবে ছিল নারকেলের পুলি, দুধ চিতই, পাটিসাপটা, ভাপা, সেমাই পিঠা, সন্দেশসহ বাহারি পিঠার সমাহার। প্রবাসী বাঙালিরা পরিবার-পরিজন নিয়ে পিঠা উৎসবে এসে যেন শৈশবের সেই চিরচেনা শীতের সকাল ফিরে পেয়েছেন।
আয়োজক দলের ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, “এই আয়োজন কেবল খাওয়ার নয়, এটা আমাদের শেকড়ের টান। পিঠার মধ্যে আমরা খুঁজে পাই মায়ের হাতের স্বাদ, বাংলার গন্ধ আর শেকড়ের টান।”
আয়োজনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের ভেতর বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ার ওপর। এছাড়াও উৎসবে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বাংলা গল্প বলা, প্রশ্নোত্তর পর্ব ও ছোট্ট সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল।
প্রবাসী ডা. সামসুন নাহার বলেন, “সন্তানদের মধ্যে যদি প্রবাসে থেকেও সংস্কৃতির বীজ বুনতে পারি, তবেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক।”
পুরো অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডা. মান্নান, ডা. নাজমুল হক মজুমদার সোহেল, ডা. রুম্মান, আহসান জনি, আরিফ, সুমন রোজারিও, সানি ও মুসাব্বির প্রিতম মুসা।
মঞ্চসজ্জা ও পরিবেশনা পরিকল্পনায় ছিলেন মুসাব্বির প্রিতম মুসা ও জান্নাতুল ফেরদৌস তন্নি।