২০০১ সালের ১৯ এপ্রিল, বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় জাভেদ ওমরের। অভিষেকে ওপেন করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৬২ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে রেকর্ড গড়া অপরাজিত ৮৫ রান। ওপেন করতে নেমে অপরাজিত থাকেন শেষ অব্দি।
অভিষেক টেস্টে (দুই ইনিংস মিলে) বাংলাদেশ ওপেনার হিসাবে সর্বোচ্চ ১৪৭ রান জাভেদ ওমরের, জোড়া ফিফটিতে।
এরপর ওপেনার হিসাবে অভিষেক টেস্ট ম্যাচে ১০০ বা তার বেশি রান করেছেন তামিম ইকবাল ও নাজিমউদ্দিনও।
২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকে প্রথম ইনিংসে ৫৩ রান করা তামিম ইকবাল দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৮৪ রান- ম্যাচে মোট ১৩৭ রান আসে তার ব্যাটে।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় নাজিমউদ্দিনের। প্রথম ইনিংসে ৩১ রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৮ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাটে। ম্যাচে তার মোট অবদান ১০৯ রান।
বাংলাদেশের ৪র্থ ব্যাটার হিসাবে অভিষেক ম্যাচে ওপেন করতে নেমে ম্যাচে ১০০ বা তার বেশি রান করলেন জাকির হাসান। সিলেটের এই ব্যাটার অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন সেঞ্চুরি।
অভিষেকে এর আগেও সেঞ্চুরি আছে বাংলাদেশ ব্যাটারের। আমিনুল ইসলাম (১৪৫), মোহাম্মদ আশরাফুল (১১৪) ও আবুল হাসান রাজু (১১৩) অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে ওপেনার হিসাবে জাকিরই প্রথম বাংলাদেশি যিনি কিনা অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।
সেঞ্চুরি করে অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি। ২২৪ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে ১০০ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হন, ক্যাচ দেন ভিরাট কোহলিকে।