সিউল, ০৪ ডিসেম্বর – চাপের মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এবার পার্লামেন্টে অভিশংসনের মুখে পড়েছেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে বিল এনে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এতে বা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে আনীত অভিশংসন ভোট হতে পারে শুক্রবার কিংবা শনিবার। ছয়টি বিরোধীদল আগে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করতে একটি প্রস্তাব জমা দেয়। এরপর তারা এই প্রস্তাব বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের প্লেনারি সেশনে উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে।
নিয়মানুযায়ী, প্রস্তাবের ওপর ভোট হতে হবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই। সে অনুযায়ী ভোটাভুটি হতে হবে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কিংবা শনিবারে (৭ ডিসেম্বর)।
এর আগে গত মঙ্গলবার কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট টেলিভিশনে দেয়া আকস্মিক এক ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হাত থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সুরক্ষায় এবং রাষ্ট্রবিরোধী নানা শক্তিকে নির্মূল করতে এ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
পরে পার্লামেন্টের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টা পরই তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন ইওল। তার রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা এবং গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টাকে পার্লামেন্ট পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে। পার্লামেন্টের ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা একযোগে প্রেসিডেন্ট ইউনের জারি করা এ ডিক্রি প্রত্যাখ্যান করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানায়, বুধবার ভোর রাতেই মন্ত্রিসভা সামরিক আইন বাতিল করার বিষয়ে একমত হয়। এরপর বুধবার সকালে এমপি’রা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার আহ্বান জানান। ইউন সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা রাজধানী সিউলের জাতীয় পরিষদ ভবনে প্রবেশ করেছিল। প্রেসিডেন্ট দপ্তর জানিয়েছে, ইউনের চিফ অব স্টাফ ও জ্যেষ্ঠ সচিবরা একযোগে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪