এক সমযের তুখোড় খল অভিনেত্রী জুলেখা বেগম। বস্তির প্রান্তে দুই কক্ষের স্যাঁতস্যাঁতে বাড়িটাই যার একমাত্র সঙ্গী। যে বাড়ির খসে পড়া পলেস্তারা, ক্ষত-বিক্ষত দেয়াল, ভাঙা আয়নায় দেখা যায় জুলেখা বেগমের জীবন বাস্তবতা। যৌবনে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রচুর চাহিদা থাকলেও এই ষাটোর্ধ্ব বয়সে দিন কাটছে প্রতি মুহূর্তের অনিশ্চয়তায়, নিঃসঙ্গতায়।
মাঝেমধ্যে দু-একটা দৃশ্যে অভিনয়ের ডাক আসে। এসব ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করে যে টাকা পান তা দিয়েই টেনেটুনে চলে তার সংসার। চরম হতাশায় একদিন জুলেখা বেগম এতদিনের পাওয়া সার্টিফিকেট, মেডেল, ট্রফি সব ছুঁড়ে ফেলেন। পরদিন সকালেই জানতে পারেন সরকার তাকে আজীবন সম্মাননা দেবে। নানাভাবে বঞ্চিত জুলেখা বেগমের বিশ্বাস হয়না আজীবন সম্মাননা পাওয়ার খবর!
এমনই জীবনঘনিষ্ট গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘জুলেখা বেগম’। আর এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এ দেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী ডলি জহুর। যিনি নিজের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে আগামীকাল শনিবার রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটকটি। আফসানা বেগমের মূল গল্পে এটি নাট্যরূপ দিয়েছেন শ্যামল শিশির। সাহরিয়ার মোহাম্মদ হাসানের প্রযোজনায় নাকটিতে আরও অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, রমিজ রাজু, দোলন দে, আশরাফ কবির, নূর আলম নয়ন।