অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চাষ করছেন এই গাছের, মাত্র ১৫টি বিক্রি করেই তাঁর আয় ১৬ লক্ষ টাকা!

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চাষ করছেন এই গাছের, মাত্র ১৫টি বিক্রি করেই তাঁর আয় ১৬ লক্ষ টাকা!

Last Updated:

Natural Farming: গমনভাই একসময় শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন, কিন্তু অবসর নেওয়ার পর তিনি চাষাবাদে মনোনিবেশ করেন।

মাত্র ১৫টি বিক্রি করেই আয় করেছেন ১৬ লক্ষ টাকা!অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চাষ করছেন এই গাছের, মাত্র ১৫টি বিক্রি করেই তাঁর আয় ১৬ লক্ষ টাকা!
মাত্র ১৫টি বিক্রি করেই আয় করেছেন ১৬ লক্ষ টাকা!

দাহোদ: গুজরাতের দাহোদ জেলার সঞ্জেলি তালুকার বাসিয়া গ্রামের কৃষক গমনভাই বসাভা ২০১০ সাল থেকে চাষাবাদ করছেন। গমনভাই একসময় শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন, কিন্তু অবসর নেওয়ার পর তিনি চাষাবাদের দিকেই মনোনিবেশ করেন। তাঁকে ২০০৯ এবং ২০১৩-১৪ সালে বিশেষ সম্মানেও ভূষিত করা হয়েছিল। গমনভাই তাঁর ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের গাছ এবং ভেষজ গাছের চাষ করেছেন, যার মধ্যে ‘সর্পগন্ধা’, ‘অশ্বগন্ধা’, ‘লক্ষ্মণফল’, ‘অর্জুন’, ‘রামফল’, ‘পানফুটি’, ‘শতাবরি’, ‘আজওয়াইন’, ‘সারিভা’, ‘ব্রাহ্মী’, ‘দহিমান’, ‘নগোড়’, ‘পারিজাত’, ‘মধুনাশিনী’, ‘অশোক’, ‘রুদ্রাক্ষ’-সহ অনেক ভেষজ গাছ রয়েছে।

এছাড়াও, প্রায় ৩০০-এর বেশি আম, হাজারের বেশি চন্দন গাছ রয়েছে তাঁর ক্ষেতে ৷ যার মধ্যে একটি লাল চন্দনও রয়েছে। বাকিগুলি সাদা চন্দন গাছ। ১০০-এর বেশি Teak, ১৫০-এর বেশি নিম এবং হিমালয়ের জঙ্গলে পাওয়া পাইন এবং শঙ্কুদ্রুমের মতো অন্যান্য গাছও রয়েছে।

আরও পড়ুন– কখন এবং কোথায় হতে পারে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, কতটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে? জেনে নিন ভয়ঙ্কর তথ্য

জোয়ার, বাজরা, সাদা বেগুন, টম্যাটো, পটল, ভিন্ডি, গাজর-সহ বিভিন্ন সবজির চাষ করেন। লিচু, ড্রাগন ফ্রুট, অশোক, কালো হলুদ, জংলি আদার মতো বিভিন্ন উদ্ভিদও তাঁর ক্ষেতে দেখা যায়। এছাড়া, জাপানি ‘মিয়াজাকি’ প্রজাতির উচ্চ মানের আম চাষও করেছেন তিনি ৷ যার দাম প্রতি কেজি দু’লক্ষ টাকা। সমস্ত গাছ, ফসল পর্যাপ্ত জল যাতে পেতে পারে, তার জন্য তিনি বিশেষ ড্রিপ ফার্মিং পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন, যা সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে চলে। বিদ্যুৎ বা জলের জন্যও তিনি সোলার সিস্টেম ব্যবহার করেছেন।

আরও পড়ুন– এ যেন এক নীরব ঘাতক! কিডনির স্বাস্থ্যের উপর ইউরিক অ্যাসিড কীভাবে প্রভাব ফেলছে, জানেন কি? শুনে নিন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে

গমনভাই বসাভা ২০-৩০ বছর আগে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি প্রথমে ভিল সেবা মণ্ডলে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন আশ্রমে কাজ করেছিলেন। এরপর গুজরাত বোর্ডে সরকারি শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন এবং তাঁর নিজের গ্রামের স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। অবসর নেওয়ার পর চাষাবাদের কাজে নিযুক্ত হন। তিনি বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় শস্য চাষ শুরু করেন এবং বাকি ক্ষেতে অন্যান্য গাছের চাষ করেন। ৩০ বছর আগে তিনি চন্দন, আম এবং শঙ্কুদ্রুমের মতো বিভিন্ন গাছের চাষ করেছিলেন।

দু’বছর আগে চন্দনের ১৫টি গাছ বিক্রি করেছিলেন, যার থেকে তিনি ১৬ লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন। গমনভাই বলেন, যে সাদা চন্দনের এক কেজির বাজার মূল্য ৪৫০ টাকার বেশি। তিনি কৃষকদের অনূর্ব্বর জমি এবং জমির শেষে চন্দনের গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিকভাবে সহায়ক হতে পারে। গাছ বা যেকোনও ফসলের ভাল যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। ন্যাচরাল ফার্মিংয়ে পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না। এর পাশাপাশি গমনভাইয়ের কাছে চারটি গরু এবং তিনটি ছোট বাছুর রয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় সার এবং বিশুদ্ধ দুধ পেয়ে থাকেন।

Next Article

Money Making Tips: অবসর সময় করে সেলাই করে মোটা টাকা লাভ, স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা

Scroll to Top