চট্টগ্রাম থেকে: বিপিএলে অপ্রতিরোধ্য রংপুর রাইডার্স ৮ ম্যাচের সবকটিতে জিতে প্লে-অফ আগেই নিশ্চিত করেছে। গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন দলটিকে হারানোটা ‘সোনার হরিণ’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাকি দলগুলোর কাছে। অবশেষে নিজেদের নবম ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেল নুরুল হাসান সোহানের দল। কাটা পড়ল নানা আলোচনার তুঙ্গে থাকা দুর্বার রাজশাহীর কাছে।
আসরে মাঠের বাইরের ঘটনায় আলোচিত রাজশাহী। পারিশ্রমিক জটিলতায় অনুশলীন বয়কট, না খেলার হুমকি। অধিনায়কত্বে পরিবর্তন এবং আরও। এসব জটিলতা পেরিয়ে মাঠে ফিরলেও ভালো অবস্থানে নেই দলটি। আগের নয় ম্যাচের ছয়টিতেই হার দেখেছে তাসকিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন দলটি।
রাজশাহী ও রংপুরের প্রথম মুখোমুখিতেই জয় তুলে নিল রাজশাহী। টেবিল টপারদের ২৪ রানে হারিয়ে ছয় থেকে টেবিলের চারে উঠে এল রাজশাহী। অবশ্য ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই বহাল রংপুর। তাদের ধারে-কাছেও নেই কেউ। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ফরচুন বরিশাল। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চিটাগং কিংস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে রাজশাহীকে আগে ব্যাটে পাঠায় রংপুর। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৭০ রান তোলে রাজশাহী। জবাবে নেমে ইনিংসের চার বল বাকী থাকতে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় রংপুরের ইনিংস।
রাজশাহী ব্যাটারদের মধ্যে দারুণ করেছেন ইয়াসির আলি রাব্বি। দুটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৩২ বলে ৬০ রান করেন। চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৯ বলে ৩৯ রান করেন সাব্বির হোসেন। ৩১ বলে ৩৪ রান করেন এনামুল হক বিজয়। এছাড়া মোহাম্মদ হারিস ১২ বলে ১৯ রান করেন।
রংপুর বোলারদের হয়ে খুশদিল শাহ ও আকিফ জাভেদ তিনটি করে উইকেট নেন। নাহিদ রানা ও রাকিবুল হাসান নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে নেমে রংপুর ব্যাটাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। সাইফ হাসান ও নুরুল হাসান সোহান আশা জাগালেও দলকে তীরে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। পাঁচটি চার ও দুই ছক্কায় ২৯ বলে ৪৩ রান করেন সাইফ। চারটি চার ও দুই ছক্কায় ২৬ বলে ৪১ রান করেন সোহান। এছাড়া সাইফউদ্দীন ১৪ বলে ২৩ রান এবং খুশদিল শাহ ১৩ বলে ১৪ রান করেন।
রাজশাহীর হয়ে রায়ান বুর্ল ৪ উইকেট নেন। তাসকিন আহমেদ ও এসএম মেহোরাব হোসেন দুটি করে উইকেট নেন। আসরে এখন পর্যন্ত ২২টি উইকেট নিয়ে শীর্ষ উইকেটশিকারী তাসকিন।