অবন্তিকার আত্মহত্যা: কারাগারে সহপাঠী আম্মান, জামিন পাননি শিক্ষক দ্বীন ইসলাম

অবন্তিকার আত্মহত্যা: কারাগারে সহপাঠী আম্মান, জামিন পাননি শিক্ষক দ্বীন ইসলাম

অবন্তিকার আত্মহত্যা: কারাগারে সহপাঠী আম্মান, জামিন পাননি শিক্ষক দ্বীন ইসলাম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলায় ২ দিনের রিমান্ড শেষে সহপাঠী রায়হান আম্মান সিদ্দিককে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে, একই মামলায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের আইনজীবী জামিন চাইলে সেটিও নাকচ করে আদালত।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আবু বকর সিদ্দিক এ আদেশ দেন। একই মামলায় গতকাল জামিন শেষে শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছিল আদালত।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা। এরপর সেদিন মধ্যরাত থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের দাবিতে রাতভর ক্যাম্পাসে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ক্যাম্পাসে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

এ ঘটনার পর সাময়িক বহিষ্কার করা হয় অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিককে। এছাড়া অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে অবন্তিকার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শাসনগাছা জামে মসজিদের সামনে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছার পারিবারিক কবরস্থানে বাবা অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

দাফন শেষে শনিবার রাতেই কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী অফলাইনে ও অনলাইনে অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকেই নানাভাবে অপমান করে আসছিলেন।

ওইদিন রাতেই অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করে পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে সহপাঠী আম্মানকে দুইদিন ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে একদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

/এমএইচ

Scroll to Top