সিনেমাওয়ালার ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে নতুন নাটক ‘অনুতপ্ত’। ‘দেনা পাওনা’ সিরিয়াল নির্মাণ করে পরিচিতি পাওয়া নির্মাতা কেএম সোহাগ রানা পরিচালিত এই নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ, মালাইকা চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, দীপা খন্দকার, শিবা শানু, তানজিম অনিক প্রমুখ।
নাটকটি ইউটিউবে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিলিয়ন ভিউস অতিক্রম করেছে। এই নাটকের গল্পটি মূলত, পারিবারিক আবেগ ও সম্পর্কের গভীরতাকে কেন্দ্র করে। যা দেখে আবেগে ভাসছে দর্শক। নাটকটিতে, বাবা ও তার সন্তানের টান ও দায়িত্ববোধ দেখে অনেক দর্শক কাঁদছেন।
‘অনুতপ্ত’ নাটকের গল্পে দেখা যায়, ইন্তেখাব দিনার ও দীপা খন্দকারের একমাত্র সন্তান পার্থ শেখ। বাবার একটাই চাওয়া, সৎ পথে থেকে সংসার চালাতে যত কষ্টই হোক তার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে! যে করেই হোক তার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে।
এ কারণে চাকরী হারা বাবা সন্তানের বাইক থেকে লেখাপড়ার খরচ এবং স্বচ্ছলভাবে মানুষ করতে দিনে সেলসম্যান এবং রাতে আড়তে কাজ করেন। অন্যদিকে, পার্থ শেখ প্রেমে পড়ে ধনীর দুলালী মালাইকার। প্রেমিকাকে ইমপ্রেস করতে বিভিন্ন উপহার কিনতে গিয়ে মুখোমুখি হয় আর্থিক টানাপড়েনের।
ঘটনাক্রমে সন্তান জেনে যায় তার শখ-আহ্লাদ পূরণ করতে গিয়ে লোনের ভারে বাবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জিএম পদের চাকরী হারিয়েছেন। শহরের আর পাঁচটা নিম্ন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিতে যা যা হয়ে থাকে, ঠিক তাই তাই উঠে এসেছে ফ্যামিলি সেন্টিমেন্টের ‘অনুতপ্ত’ নাটকের গল্পে।
নাটকটি দেখে একদিনে প্রায় তিনহাজার দর্শক মন্তব্য করেছেন ইউটিউবের কমেন্টবক্সে। যেখানে তারা মনের অনুভূতিগুলো শেয়ার করেছেন।
বখতিয়ার রাজু লিখেছেন, নাটক অনেককিছু শেখায় সেটা আবারও বুঝলাম ‘অনুতপ্ত’ দেখে। বাবারা যে আমাদের ভালো রাখার জন্য কত কষ্ট করেন সেটা আমরা বুঝে উঠতে পারি না। সকল বাবাকে শ্রদ্ধা। এমন গল্প দেখানোর জন্য পরিচালক ও আর্টিস্টদের ধন্যবাদ।
জাকিয়া সালেহি নামে আরেকজন দর্শক লিখেছেন, পথভ্রষ্ট জেনারেশনের জন্য খুবই দরকারি একটি মেসেজ রয়েছে এই নাটকে। এমন বাবা ও সন্তান সবাই চায়। যদিও অধিকাংশ বাবা এমনই। কিন্তু সন্তানরা তরুণ বয়সে এসে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। সুন্দর বার্তা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এমডি শিপন লিখেছেন, বাবার সঙ্গে অনেক অন্যায় করেছি। বাবার কষ্টকে কখনো বোঝার চেষ্টা করিনি। আমি চোখে পানি আটকাতে পারিনি।
আঁখি ইসলাম লিখেছেন, সত্যি এমন ছেলে যদি বাস্তবে হতো তাহলে বাবার কষ্ট বুঝতো বাবার পাশে দাঁড়তো। কতোই না ভালো হতো। বাবা মায়ের চোখে পানি ফেলতে হতো না। গিয়াস উদ্দিন নামে আরেক দর্শক লিখেছেন, সুন্দর শিক্ষা মুলুক একটা নাটক ‘অনুতপ্ত’।
হৃদয় আহমেদ লিখেছেন, এই ধরণের নাটক ভাইরাল হওয়া উচিত। অশ্লীলতার যুগে ভিন্ন ধরনের নাটক এটা। পুরোটা দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
শরিফুল ইসলাম লিখেছেন, সন্তান এবং পরিবারের জন্য বাবার কষ্ট বোঝার জন্য এই নাটক অবশ্যই দেখা উচিত। মোছা: ময়না লিখেছেন, এই ধরনের নাটক পরিবার ও সমাজের মূল্যবোধ বাড়ায়।
এমডি শাহজালাল লিখেছেন, এরকম নাটক আরো চাই। এই গল্পটা একেবারে বাস্তব ন্যাচারাল। আমাদের দেশের বেশিরভাগ সংসারের জীবনযুদ্ধ চালাতে প্রতিটা বাবা এমনভাবে কষ্ট যাচ্ছে, অথচ আমি বুঝতেই পারি না।