এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেছেন, কমিশনের প্রশ্নমালার সাথে কয়েকটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে, যা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আজ ২২ মার্চ শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের প্রস্তাবকে অযৌক্তিক বলে মনে করছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের বিষয়টি কমিশনের সুপারিশে থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো স্প্রেডশিটে তা উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশের ৮০ শতাংশই স্প্রেডশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের সুপারিশে সাংবিধানিক কমিশনসহ নতুন নতুন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করে তাদেরকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রস্তাব রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য হুমকিস্বরূপ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, ঐক্যমত্য কমিশনের সুপারিশে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে, যা কাম্য নয়। তিনি দাবি করেন, কমিশনের সুপারিশের সাথে কয়েকটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের মিল রয়েছে, যা নিয়ে জনমনে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার মাধ্যমে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগ দিয়ে সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায়িত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এটি গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য ক্ষতিকর। কোনো বিশেষ মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয়, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।