অথচ এই শান্ত’রই রান করতে হত

অথচ এই শান্ত’রই রান করতে হত
অথচ এই শান্ত’রই রান করতে হত

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর, ক্যান্ডিতে লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার স্কুল ট্রিনিটি কলেজের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। গন্তব্যের খুব কাছে যেতেই বিসিবি’র (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) মেইল। এশিয়া কাপের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এই খবর জানার পর আক্ষেপে পুড়েছিলেন সবাইই। শান্ত যে ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে ব্যর্থ হলেও তাঁর আগে চেমসফোর্ডে আইরিশদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি, এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ৮৯ করার পর আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি (১০৪)।

এমন ক্রিকেটারকে হারানো নিঃসন্দেহে ছিল দুঃখজনক। এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলতে পারেনি টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে ১ ম্যাচ খেলেন শান্ত, সেখানে করেন ৭৬ রান। মনে হচ্ছিল যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, শুরুটা হল সেখান থেকেই।

বিশ্বকাপে শান্ত এলেন সহ অধিনায়ক হিসাবে। সাকিব আল হাসানের ডেপুটি আফগানদের বিপক্ষে অপরাজিত ৫৯ রান করলেন। শান্তর ব্যাট হাসাতে হাসল লাল সবুজের বাংলাদেশও।

তবে ঐ অব্দিই। এরপর আজকের ম্যাচ সহ ৬ ম্যাচ খেললেও দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি শান্ত। টপ অর্ডারে ব্যাটিং করা শান্তর ইনিংসগুলো যথাক্রমে- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১ বলে ০, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ বলে ৭, ভারতের বিপক্ষে ১৭ বলে ৮, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ বলে ০, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৮ বলে ৯ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ বলে ৪।

বিশ্বকাপে সহ অধিনায়ক হিসাবে এসেছিলেন, পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব আল হাসান খেলতে না পারায় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। তবে কাঁধে দায়িত্বের বোঝা পেয়ে একটু নুয়ে পড়েছেন শান্ত, ব্যাট হাতে দলের বিপদ বাড়ানো ছাড়া কমাতে পারেননি।

Scroll to Top