পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবীয়দের ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর এবার টি-টুয়েন্টিতে অস্বস্তিকর পরিস্তিতে পড়তে হলো তাদের। শেষম্যাচে ৭ উইকেটের জয় তুলে সফর শেষ করেছে অজি দল।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় শাই হোপের দল। লক্ষ্যে নেমে ৩ ওভার ও ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে মিচেল মার্শের দল।
পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের সব কয়টি দাপটের সঙ্গেই জিতে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ২০৫ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন।
ব্যাটে নেমে স্বাগতিকদের হয়ে ৩১ বল খেলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রান করে বেন দ্বারশুইসের বলে আউট হন শিমরন হেটমায়ার। তিনি শেরফেন রাদারফোর্ডকে নিয়ে ১৮ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন। পরে রাদারফোর্ড ১৭ বলে ৩৫ রান করে আউট হলে, জেসন হোল্ডারকে নিয়ে ৩০ বলে ৪৭ রানের একটি ইনিস খেলেন হেটমায়ার। দলকে সন্মমান জনক একটি রানের পুজে এনে দেন উইন্ডিজের এই জুটি। হোল্ডার আউট হলে ক্যারিবীয়দের হয়ে স্কোরবোর্ডে তেমন কোনো রান যোগ করতে পারেননি কেউ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান এলিস দুটি এবং শন অ্যাবট, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, আডম জাম্পা ও এরন হারডি একটি করে উইকেট পান। ৪ ওভারে ৪১ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন দ্বারশুইস।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অজিদের টপ অর্ডার অবশ্য তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেননি। স্কোড়বোর্ডে ২৫ রান উঠতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেন তারা। এরপর অবশ্য দারুণ ভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারী দল।
১২ ওভারে ৪ উইকেট হারালে হাল ধরেন গ্রিন ও মিশেল ওয়েন। তাদের জুটিতে আসে ২৯ বলে ৬৩ রান। তাতেই লক্ষ্যের খুব কাছে পৌছে যায় মিচেল মার্শের দল। ১৪১ রানে ওয়েন ১৭ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩৭ রান করে আউট হয়। আর ১৮ বলে ৫ চারে ৩২ রান করেন গ্রিন। মাঝে টিম ডেভিড ১২ বলে ৩০ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
উইন্ডিজের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আকিল হোসেন। হোল্ডার এবং জোসেফ পান দুটি করে উইকেট পান।
টি-টিয়েন্টি সিরিজের আগে তিন ম্যাচের টেস্টে সিরিজেও স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের দুর্দান্ত পারফম্যেন্সে কোন সুযোগ পায়নি ক্যারিবীয় দলটি। প্রথম টি-টুয়েন্টিতে ৩ উইকেটে, দ্বিতীয়টিতে ৮ উইকেটে, তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে ৬ ও ৩ উইকেটে জিতেছিল অজিরা, সব ম্যাচে তারা স্বাগতিকদের বিপক্ষে পরে ব্যাটিং করে।