৯ বছর পর টি-টুয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ | চ্যানেল আই অনলাইন

৯ বছর পর টি-টুয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ | চ্যানেল আই অনলাইন

২০১৬ সালে সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও ২০২৩ এশিয়ান গেমসে জিতেছিল, তবে সেটি মূল দলের লড়াই ছিল না। মূল দলের সবশেষ ১২ ম্যাচে কোনো ম্যাচ জয়ের মুখ দেখে নাই টিম টাইগার্স। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ বছরের জয় খরা কাটাল বাংলাদেশ। সফরকারীদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। সবমিলিয়ে টি-টুয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের চতুর্থ জয়, এর মধ্যে একটি এশিয়ান গেমসে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে নেমে ১৫.৩ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ।

লক্ষ্য়তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ৭ রানে টপঅর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায়। ইনিংসের পঞ্চম বলে অভিষিক্ত সালমান মির্জার বলে মিড অনে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দেন তানজিদ তামিম। ৪ বলে ১ রান করে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তৃতীয় ওভারে বলে দ্বিতীয় শিকার তুলে নেন সালমান। স্লিপে খুশদিল শাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। ৪ বলে ১ রান করেন।

তৃতীয় উইকেটে হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়। জুটিতে ৬২ বলে ৭৩ রান তোলেন দুজনে। দলীয় ৮০ রানে হৃদয় ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। আব্বাস আফ্রিদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৩৭ বলে ৩৬ রান। ছিল দুটি করে চার ও ছক্কার মার।

হৃদয় ফেরার পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন পারভেজ। ৩৪ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ছিল দুটি চার ও পাঁচ ছক্কার মার। পরে জাকেরকে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন এই ওপেনার। ইমন তিন চার ও পাঁচ ছক্কায় ৫৬ রানে এবং জাকের তিন চারে ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

পাকিস্তান ব্যাটারদের মধ্যে সালমান দুটি উইকেট নেন। আব্বাস আফ্রিদি নেন এক উইকেট।

এর আগে ব্যাটে নেমে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে জীবন পেয়ে পাকিস্তানকে ঝড়ো শুরু এনে দেন ফখর। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারে প্রথম আঘাত হানে বাংলাদেশ। পঞ্চম বলে তাসকিনের ব্যাক অব লেন্থের ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন সাইম আইয়ুব। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। সাইম করেন ৪ বলে ৬ রান।

এরপর ফখর জামান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পাকিস্তান। একে একে ফিরে যান মোহাম্মদ হারিস (৩ বলে ৪), সালমান আঘা (৯ বলে ৩), হাসান নেওয়াজ (৪ বলে ০) ও মোহাম্মদ নেওয়াজ (৫ বলে ৩)।

৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহকে নিয়ে হাল ধরেন ফখর। তবে জুটি লম্বা করতে পারেননি। ২৩ বলে ২৪ রান তোলার পর জুটি ভাঙে। রানআউট হয়ে ফিরে যান ফখর জামান। তার আগে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন। পাকিস্তান ব্যাটারদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ।

৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান। পরে খুশদিল ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে যোগ করেন ২৭ বলে ৩২ রান। ১৬.২ ওভারে দলীয় ১০৩ রানে খুশদিলকে ফেরান মোস্তাফিজ। একটি করে চার ও ছক্কায় ২৩ বলে ১৭ রান করেন। এরপর শেষ ওভারে তিন বলেই তিন উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। একটি রানআউট হওয়ায় হ্যাটট্রিক হয়নি তাসকিনের। আব্বাস আফ্রিদি ৩ ছক্কায় ২৪ বলে ২২ রান করেন।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দারুণ করেন মোস্তাফিজ। রেকর্ডও গড়েন টাইগার পেসার। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ১ ইনিংসে সবচেয়ে কম ইকোনোমি রেটে বল করার রেকর্ড এখন তার। ৪ ওভারে ৬ রানে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। তার আগে ৪ ওভার বল করে সর্বনিম্ন ৭ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ, তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন।

তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ২২ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। শেখ মেহেদী ও তানজিম সাকিব নেন একটি করে উইকেট।

Scroll to Top