নিজেদের তারকা ফুটবলারদের গোলে লা লিগার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা ২০২৫-২৬ মৌসুমে শুভসূচনা করেছে। দুই লাল কার্ডে বিপর্যস্ত মায়োর্কাকে আরও চেপে ধরে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ৯ জনের দলের বিপক্ষে শনিবার রাতে ৩-০ গোলের জয় আদায় করে নিলো কাতালানরা।
দলের পক্ষে একটি করে গোল করেছেন রাফায়েল রাফিনিয়া, লামিনে ইয়ামাল ও ফেররান তোরেস। পুরো ম্যাচে ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ২৪টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। মায়োর্কা মাত্র ৪ শটের মাঝে লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় একটি।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। ইয়ামালের ক্রসে ছুটে গিয়ে শক্তিশালী হেডে জাল কাঁপান গত মৌসুমে ১৮ গোল করা ব্রাজিলিয়ান রাফিনিয়া। ২০ মিনিটের পর মায়োর্কা সুযোগ হাতছাড়া করলেও লিড দ্বিগুণ করতে দেরি করেনি বার্সেলোনা।
প্রতিপক্ষের বল ক্লিয়ার করতে না পারার ব্যর্থতায় ঠাণ্ডা মাথায় বলে জালে জড়িয়ে দেন তোরেস। আধাঘণ্টার পর থেকে প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত চলেছে চরম উত্তেজনা। যার শুরুটা হয় রেফারির ওপর রাগ দেখিয়ে মায়োর্কা কোচের হলুদ কার্ড দেখার মাধ্যমে।
৩৩ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। ইয়ামালকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মনু মরনালেস। ৩৯ মিনিটে আবারও বিপদ—বার্সা গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়ার মুখ বরাবর পা তোলার অপরাধে সরাসরি লাল কার্ড পান মায়োর্কার ভেদাত মিউরিকি।
প্রথমে এটি হলুদ কার্ড হলেও ভিএআরের সিদ্ধান্তে তা লাল কার্ডে পরিবর্তিত হয়। বিরতির আগেই ইয়ামালের দুই দফা আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয় মায়োর্কা। আর প্রথমার্ধের শেষ দিকে বেপরোয়া ফাউলের জন্য রাফিনিয়াও দেখতে পান হলুদ কার্ড।
দু’জন খেলোয়াড় কম থাকায় বিরতির পর বার্সার প্রবল চাপে পড়ে মায়োর্কা। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেলেও বার্সা একাধিকবার ব্যর্থ হয়—ইয়ামাল ও তোরেসের শট মিস, দানি ওলমো ও রাফিনিয়ার প্রচেষ্টা থেমে যায় গোলপোস্ট বা গোলরক্ষকের বাধায়।
বদলি হিসেবে নেমেও মার্কাস রাশফোর্ড নিজের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি। অবশেষে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে ট্রেডমার্ক গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ইয়ামাল।