আমরুলবাড়ি পলিপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগছিলাম। মশিউর ভাইয়ের খামার দেখে চোখ খুলে যায়। তিনি আমাকে মুরগি, হাঁস ও গরুর খামার গড়ার পরামর্শ দেন। খামারের আয়ে চার বিঘা আবাদি জমি ও মোটরসাইকেল কিনেছি। পাকা বাড়ি করেছি। বর্তমানে খামারে গরু আছে ১৯টি। সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটছে।’
মশিউরের স্ত্রী সুমি খাতুন বলেন, ‘চাকরি করলে দুজনে মাসে যে বেতন পেতাম, তাঁর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা খামার থেকে আয় হয় আমাদের। ব্যবসায় লাভ–ক্ষতি দুটিই আছে। সফল হতে হতাশ না হয়ে লেগে থাকতে হয়। দরকার মনোযোগ ও ধৈর্য।’
উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা বলেন, মশিউর ২০২৪ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষির পুরস্কার পেয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, উচ্চশিক্ষিত মশিউর এলাকার সেরা খামারি। খামার করে তিনি নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করেছেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় এলাকায় আরও শতাধিক খামার গড়ে উঠেছে।