৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ঢাকা-১ আসনে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট সালমা ইসলাম। প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের মাঝে জনসংযোগ করছেন তিনি। তাঁর প্রচার সভায় স্থানীয় মানুষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ওই আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য তার মেয়াদকালে এলাকায় দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন, যার সুফল পাচ্ছে স্থানীয় মানুষ। ঢাকা-১ আসনের উন্নয়নে সালমা ইসলামের কার্যক্রম দেশেব্যাপী ‘মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট সালমা ইসলাম সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

স্থানীয় মানুষের অভিমত, ব্যবসা, আইন পেশা ও রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকেও যে কোনো প্রয়োজনে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে গেছেন। সাধারণ মানুষের একজন হয়েই মানুষের কথা শুনেছেন তাদের সাথে মিশেছেন। এলাকায় স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের পাশাপশি অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী ভাঙন রোধ ও শতভাগ বিদ্যুতায়নে কাজ করেছেন। যার ফলপ্রসূত নবাবগঞ্জ-দোহার দেশের মধ্যে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

জানা যায়, সংসদ সদস্য থাকাকালীন ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ-দোহার) এলাকায় বেশকিছু দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ করেন এডভোকেট সালমা ইসলাম। তার মধ্যে— শিক্ষাখাতে স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও নবাবগঞ্জ পাইলট স্কুল প্রতিষ্ঠা তার আমলেই হয়েছে। এছাড়াও নদীর ভাঙন প্রতিরোধে ২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের মূল কারিগরও তিনি। নবাবগঞ্জ-দোহার এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার অবদানও তারই।

এলাকাবাসীর আশা— সালমা ইসলাম আবারও নির্বাচিত হলে এই এলাকার মানুষের ভাগ্য বদলে যাবে। আধুনিক ও স্মার্ট দোহার-নবাবগঞ্জ দেখার অপেক্ষায় এলাকার মানুষ। ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও নতুন কর্মসংস্থান তৈরীতে আরও ভূমিকা রাখবেন জাতীয় পার্টির এই নেতা। এজন্য আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা আস্থা রাখতে চান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের লাঙ্গল প্রতীকে।

 

৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
নির্বাচনী প্রচারণায় এডভোকেট সালমা ইসলাম


 

ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটি রাজধানীর কাছে হলেও তুলনামূলক অনুন্নোত। মানুষের মাঝে বেকারত্ব ও নদী ভাঙন এই এলাকার প্রধান সমস্যা। নির্বাচনী প্রচারসভায় এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়ায় নতুন স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসী।

আধুনিক নবাবগঞ্জ-দোহার গঠনে সালমা ইসলামের নির্বাচনী ইশতেহারও নজর কেড়েছে সবার। ইশতেহারে তিনি উল্লেখ করেন— দোহার-নবাবগঞ্জকে উন্মত্ত পদ্মার করাল গ্রাস হতে রক্ষা করতে চলমান কাজের অসমাপ্ত অংশে বাঁধ মেরামতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পদ্মার পাড়জুড়ে ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হবে; দোহার-নবাবগঞ্জের ৫ লাখেরও বেশি ভোটারের গণদাবি, বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সরকারিভাবে বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় ভর্তুকির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইছামতি নদীকে সচল করে দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের জন্য দূষণমুক্ত প্রাকৃতিক ও মনোরম পরিবেশে জীবনযাপন নিশ্চিত করা হবে; নবাবগঞ্জকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করে আধুনিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পাকা রাস্তার দু’পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালুসহ নাগরিক জীবনের সকল সমস্যা নিরসনের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে; জবাবদিহিতা ও তদারকিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দোহার-নবাবগঞ্জের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আধুনিক ও স্মার্ট মানের গড়ে তোলার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করে গড়ে তোলা ও মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার সর্বোচ্চ প্রয়াস নিশ্চিত করা হবে।

দোহার-নবাবগঞ্জের ৪১৫টি গ্রামের মাটির রাস্তা পাকাকরণ, পাকা রাস্তাগুলো সংস্কারপূর্বক প্রশস্তকরণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ লাইনের ব্যবস্থা এবং সড়ক সংযোগ মোড়ে আলোকবাতির ব্যবস্থা করা হবে; প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহ সচল করা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তদারকি করতে স্থানীয় সচেতন শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ দ্বারা কমিটি গঠন করে গ্রামের সাধারণ ও অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে; দোহারের পদ্মার মোহনা পুরুলিয়া হতে প্রবাহিত খালকে খননের মাধ্যমে দুই পাড় শাসন করে নবাবগঞ্জের ইছামতি নদীর সাথে সংযোগ ঘটিয়ে সারা বছর পানি প্রবাহ চলমান রেখে খালের পানি দ্বারা স্থানীয় কৃষকের সেচ প্রকল্প চালু রাখা হবে। নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

https://imaginary.barta24.com/resize?width=700&quality=75&path=uploads/news/2024/Jan/04/1704384171563.jpg
ভোট প্রচারণায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থী এডভোকেট সালমা ইসলাম


 

মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় দোহার-নবাবগঞ্জের ২৩টি ইউনিয়ন ও দোহার পৌরসভায় অবহেলিত এলাকাসমূহে ‘মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার’ অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রতিটা ইউনিয়নে সেলাই কেন্দ্র চালু করে নারীদের কর্মমুখী করে গড়ে তোলার জন্য সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তা অব্যাহত থাকবে; নতুন ভোটার, শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ-তরুণীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন ব্যক্তি বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে; মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত দোহার-নবাবগঞ্জ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে সামাজিক অবক্ষয় রোধে উঠতি বয়সী কিশোর ও যুবসমাজকে সামাজিক কাজ ও খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে পর্যাপ্ত মাঠ ও যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হবে; নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং নারীর কর্ম ও ক্ষমতায়নে তথা সর্বক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে; দোহার-নবাবগঞ্জে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তাঁতী জনগোষ্ঠীর বসবাস। বিলুপ্তপ্রায় তাঁতশিল্পকে পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বেকার তাঁতীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে; বিপুলসংখ্যক হিন্দু-খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের আবাসস্থল দোহার-নবাবগঞ্জের শান্তি-সম্প্রীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি সন্নিবেশ বাস্তবায়নে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে; নবাবগঞ্জে ইছামতি নদীর নবাবগঞ্জ-যন্ত্রাইল ব্রিজ প্রশস্তকরণ ও কৈলাইলের শালিকা লঞ্চঘাটে প্রস্তাবিত ব্রিজ নির্মাণ ও শোল্লার কালিগঙ্গা নদীর উপর পাতিলঝাঁপ দত্তখণ্ড প্রস্তাবিত ব্রিজের নির্মাণ বাস্তবায়নে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নবাবগঞ্জের বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন, সালমা আপা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী ভোট চাইতে আসেনি। উনি সবার বাড়ি গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলছেন, ভোট চেয়েছেন। সবার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন। তিনি আগে এমপি থাকাকালীন এলাকায় অনেক কাজ করেছেন। এবারও আমরা তার উপর আস্থা রাখতে চাই। ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে তিনিই জয়ী হবেন।

একই ইউনিয়নের সেতারা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন মেয়েকে নিয়ে কঠিন সময় পার করছি। সালমা আপা ছাড়া কোনো প্রার্থী আমাদের বাড়ির কাছে আসেনি, কেউ খোঁজও নেয়নি। তিনি আমাদের এলাকায় রাস্তাঘাট করে দিয়েছেন। সবসময় এলাকায় আসা-যাওয়া করেন, সবার পাশে থাকেন।

বায়োবৃদ্ধ আনন্দ হাওলাদার বলেন, সালমা আপা আমাদের এলাকায় তিনবারের এমপি। এলাকার মানুষ কখনো তার কাছে গিয়ে খালি হাতে ফেরেনি। আমাদের মন্দিরের জন্য লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছেন। এবার আপার কাছে আরেকটা মন্দির করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।

এলাকার আরেক বাসিন্দা আজাদ মাঝি বলেন, ইছামতি নদীর ওপর একটা স্লুইসগেট করে দিতে আপাকে বলেছি। তিনি নদী ভাঙনের জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তার সুফল আমরা এখনো ভোগ করছি। আপা নির্বাচিত হলে আমরা আবার আমাদের কাছের মানুষকে পাবো। যিনি জনগণের কথা ভাবেন, জনগণের কথা শুনেন। 

Scroll to Top