মিরিক: প্রাণভরা বুনকুলুং। এই বুনকুলুং শব্দটি আসলে একটি লিম্বু জনজাতির শব্দ। লিম্বু ভাষা অনুযায়ী ‘বুন’ শব্দের অর্থ ‘ফুল’, এবং ‘কুলুং’য়ের অর্থ ‘পাথর’। অর্থাৎ পাথরের ফুল। নামটা খটোমটো লাগলেও জায়গাটা অসাধারণ, মিরিক থেকে বেশ কছেই। এটিকে মডেল গ্রাম হিসাবেও ধরা হয়। ঈশ্বর যেন নিজে হাতে এই গ্রামকে সাজিয়েছেন।
পাহাড়, জঙ্গল, হরেক পাখির মেলা, নদী কী নেই এই গ্রামে। সবুজে সুবজ এই গ্রাম। যারা শহরের কোলাহল ছেড়ে একান্তে শান্ত পরিবেশ রাত্রিযাপন করতে চান তাদের জন্য আদর্শ ঠিকানা এটি।
আরও পড়ুনঃ চায়ে মেশান লবঙ্গ, স্বাদ বাড়বে দ্বিগুন, শীতে ম্যাজিকের মতো কমবে জটিল এই রোগ
কীভাবে যাবেন?
এনজেপি থেকে মিরিক হয়ে বুনকুলুং (Bunkulung) মাত্র ৫০ কিলোমিটার রাস্তা। আপনি এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া না করেও আসতে পারেন। এতে টাকা অনেকটা সাশ্রয় হবে। দার্জিলিং মোড় বা এনজেপি অথবা তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে আপনি শেয়ার গাড়িতে মিরিক আসতে পারেন। এরপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে বুনকুলুং। দার্জিলিং থেকে মিরিক, সৌরিনী হয়েও বুনকুলুং আসা যায়।
বুনকুলুং জঙ্গল ক্যাম্পের অন্যতম কর্ণধার কল্যাণ রাই জানিয়েছেন, “মানুষ এখন কংক্রিটের জঙ্গল ছেড়ে একটু সবুজের মাঝে কাটাতে চায়। তাই তাদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা এই ক্যাম্প। মাত্র ১৫০০ টাকা খরচ করলেই তিনবেলা থাকা খাওয়া মিলে যাবে এখানে।” এখানে মোট ৭টি হোমস্টে রয়েছে। তবে জঙ্গল ক্যাম্পে থাকার মজাই আলাদা।
জঙ্গল ক্যাম্পে থাকলে আপনি হয়তো সেই পাঁচতারা হোটেলের বিলাসিতা পাবেন না। কিন্তু যেটা পাবেন সেটা জন্মজন্মান্তরেও ভুলতে পারবেন না। একেবারে প্রকৃতির মাঝে তৈরি হয়েছে কটেজ। ঠিক তাঁবু নয়, কিন্তু তাঁবুর মতো অনুভুতি হবে আপনার। বালাসনের ধার বরাবর ট্রেকিংয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। কম উচ্চতার ট্রেকিং, সার্ভাইভাল ক্যাম্প, নেচার ক্যাম্পেরও সুযোগ রয়েছে। তাই একটু পাহাড়ের কোলে অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটি করতে আপনার ঠিকানা হতে পারে এই গ্রাম।
অনির্বাণ রায়
Published by:Shubhagata Dey
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North Bengal, Tourism