সিলেটে এমএজি ওসমানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সিলেটে এমএজি ওসমানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসকদের মান-মর্যাদা সবার আগে বিবেচনা করা হয়। তারপরও যদি কেউ ফাঁকি দেয়, কারো গাফিলতির কারণে যদি রোগীর কিছু হয়, সেটা বরদাস্ত করা হবে না।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের তারকা মানের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত চিকিৎসক অধ্যক্ষ সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, কোয়ান্টিটি (পরিমাণ) চাই না, কোয়ালিটি (মানসম্মত) চাই। মানসম্মত চিকিৎসক তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে। তাতে উপরওয়ালা না করুক আমার-আপনার কিছু হলে তাহলে ভালো চিকিৎসাটা যেন পাই! আমাদের দেশে অনেক মেধা আছে। সেগুলোকে কাজে লাগানো হবে। কেন মানুষ বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবে! এদেশেই মানসম্পন্ন চিকিৎসক তৈরি করে মানসম্পন্ন চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।

নতুন করে কথায় কথায় মেডিকেল হাসপাতাল না বানিয়ে যেগুলো আছে, সেগুলোকে মানসম্মত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

সিলেটে এমএজি ওসমানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

সংসদের জবাবদিতিতার বিষয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সংসদে বারবার জিজ্ঞেস করা হয়, ২০ থেকে ৩০ শয্যা, ৪০ থেকে ১০০ শয্যা করার ব্যাপারে। এখন আমি বলছি, হাসপাতাল যেগুলো আছে, সেগুলো যদি নতুন করে ঠিক করতে না পারি, শুধু শুধু বিল্ডিং বানাবো, কোনো চিকিৎসক থাকবে না, এটা তো হতে পারে না! এটা তো মানুষকে ধোঁকা দেওয়া, ফাঁকি দেওয়া হয়।

তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আমি কথায় কথায় মেডিকেল কলেজ বানানোর পক্ষে নই। মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিতেই কাজ করে যাবো।

স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার, মো. খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর অধ্যক্ষ, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

Scroll to Top