রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ধরা পড়েন হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। তাকে ওই দিনই বান্দ্রা আদালতে পেশ করা হয়।
এবার জানা গেল, জেরার মুখে অবশেষে দোষ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শরিফুল।
অভিযুক্ত এই ব্যক্তি বলেছেন, “হ্যাঁ আমিই করেছি।” তার বয়ান অনুযায়ী, পতৌদী প্যালেসে ডাকাতির চেষ্টা তিনি-ই করেন। সাইফের হামলাকারীও তিনিই।
জেরার মুখে শরিফুল আরও জানিয়েছেন, তিনি পতৌদী প্যালেস সম্বন্ধে একেবারেই অবগত ছিলেন না। জানতেই না যে তিনি সাইফ আলী খানের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছেন। এমনকি অভিনেতাকে পর্যন্ত চিনতেন না। তিনি পরে জানতে পারেন, যাকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা।

অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি, ঘটনা পুনর্নিমাণেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেক্ষেত্রে আক্রমণকারীকে আবারও পতৌদী প্যালেসে নিয়ে যাবে পুলিশ।

মুম্বাই পুলিশের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে বসবাসকারী শরিফুল গত পাঁচ মাস ধরে এলাকার বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিলেন। ইতিমধ্যেই ওরলি এবং ঠানে এলাকার দু’টি রেস্তরাঁ-পাব ও হোটেলে শরিফুলের কাজ করার কথা জেনেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ওরলি এলাকার রেস্তরাঁয় চুরির অভিযোগ উঠেছিল শরিফুলের বিরুদ্ধে। সেই কারণে তার চাকরিও গিয়েছিল গত আগস্টে। শনিবার দুই রেস্তরাঁয় হানা দেয় প্রশাসন। সাইফের উপর হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও ওই দুই রেস্তরাঁ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পুরনো সাফাইকর্মীদের।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওরলির ওই রেস্তরাঁর ম্যানেজার জানান, যে ঠিকাদারের কাছ থেকে তারা কর্মী ভাড়া নেন সেই ঠিকাদারকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তারা জানতে পেরেছেন, চুরির অভিযোগে শরিফুলকে বরখাস্ত করার পরও ওই ঠিকাদার তাকে কর্মী আবাসনে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। শনিবার পুলিশ তদন্তে যাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয় রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে। –এনডিটিভি