ধারণাপত্রে দেখানো হয়, বাজেটে যে খাতটি থেকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার নাম ‘বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাত’। এই খাতের অধীন রয়েছে চারটি মন্ত্রণালয়। এই চার মন্ত্রণালয়ের মোট বরাদ্দও বাজেটের ১ শতাংশের কম। এতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সংস্কৃতি খাতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও প্রণোদনা বিশেষ প্রয়োজন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বাজেট শুধুই অর্থনৈতিক বিষয় নয়, জাতির আকাঙ্ক্ষার বিষয়টিও এর সঙ্গে থাকে। একটি জাতির মননের বিকাশ ঘটায় তার সংস্কৃতি। এ কারণে সংস্কৃতির বিকাশের সঙ্গে সব মানুষের স্বার্থ, পুরো দেশের স্বার্থ জড়িত থাকে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রাক্–বাজেট যেসব আলোচনায় হয়, তাতে অর্থমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের সঙ্গে বসেন; তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানে দেশের বৃহত্তর যে জনগোষ্ঠী, সেই কৃষকসহ সংস্কৃতি, শিক্ষাক্ষেত্রের মানুষের কোনো অংশগ্রহণ থাকে না। ফলে যারা বাজেট প্রণয়ন করেন, তাদের ভাবনায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বক্তব্য, সংস্কৃতির মানুষদের চাহিদার কথা স্থান পায় না।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘আমরা বলার সময় বলি “শিক্ষা-সংস্কৃতি”। শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রকৃতপক্ষেই অভিন্ন; কিন্তু সংস্কৃতিকে অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করে রাখা হয়েছে। এটাও অসংগত। বাজেট বৃদ্ধির পাশাপাশি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করাও প্রয়োজন।’