শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোল দিয়েও যে কারণে হতাশ বাংলাদেশ কোচ | চ্যানেল আই অনলাইন

শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোল দিয়েও যে কারণে হতাশ বাংলাদেশ কোচ | চ্যানেল আই অনলাইন

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। অনূর্ধ্ব-২০ মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে সেটা বেশ পরিষ্কারও। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় মেয়েরা যেদিকে দৌড়ে যাচ্ছিলেন, সেটা বোঝা যাচ্ছিল ঘাসে পায়ের গভীর ছাপ দেখেই, কারণ মাঠ হয়ে উঠেছিল কর্দমাক্ত ও ভারী। তাতে লাল-সবুজদের কয়েকজন ভালো করলেও অনেকেরই স্বাভাবিক পারফরম্যান্স দেখেননি বাংলাদেশ কোচ পিটার জেমস বাটলার। তার মতে, অভাব ছিল ফিনিশিংয়েরও।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার লঙ্কান মেয়েদের বিপক্ষে ৯-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন সাগরিকা। মুনকি আক্তারের জোড়া গোলের সঙ্গে জালের দেখা পান স্বপ্ন রাণী, শিখা, শান্তি ও রূপা আক্তার।

ম্যাচ শেষে বাটলারের কাছে আসে এমন জয়ের পর কতটা খুশি। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বাটলার মাঠের কন্ডিশন নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন। তার মতে মাঠের কন্ডিশন স্বাভাবিক হলে হতে পারতো আরও গোল। শেষদিকে গোল হজম নিয়েও হতাশ তিনি।

৫৮ বর্ষী ইংলিশ কোচ বলেছেন, ‘প্রথমত, গতিময় এবং আক্রমণাত্মক খেলার জন্য কন্ডিশন কঠিন ছিল। আমি কেবলই অনুভব করছি, আমরা একটু বেশিই সুযোগ নষ্ট করেছি এবং আমি অল্প কয়েকজনকে খেলার সুযোগ দিতে পেরেছি। আমার দৃষ্টিতে কেউ খুবই ভালো করেছে, অন্যরা হয়তো অতটা ভালো ছিল না। সাগরিকা ছিল দারুণ, নবীরন দৃঢ় মানসিকতার, শিখাও ভালো করেছে।’

‘আসলে, এদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘসময় খেলেনি। তবে ভেবেছিলাম, ফিনিশিংয়ে আমরা আরও বেশি কার্যকর হবো, কিন্তু মাঠের পরিস্থিতি আমাদের সাহায্যে আসেনি। মাঠ খুবই ভারী ছিল। অবশ্যই, এটা কারো দোষ নয়। কদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল। মাঠ যেমন ছিল, সেটাই বললাম আরকি। কিন্তু আমরা ৯ গোল করেছি। শেষদিকে একটা গোল খাওয়ায় একটু হতাশা আছে। তবে স্বস্তির বিষয় ম্যাচটা আমরা শেষ করতে পেরেছি কোন চোট ছাড়াই।’

১৩ জুলাই নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৫ ও ১৭ জুলাই টানা দুই ম্যাচে মেয়েদের প্রতিপক্ষ ভুটান। ১৯ জুলাই আবার লঙ্কানদের মুখোমুখি হবেন স্বপ্না-সাগরিকারা। ২১ জুলাই নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ।

Scroll to Top