শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৭১ রানের জুটিতে জয়ের পথে এগোচ্ছিল টিম টাইগার্স। দলীয় ১০০তে শান্ত রানআউট হয়ে ফেরার পর ধস নামে। ৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১০৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর হার ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার। জাকের আলী ফিফটি করে ব্যবধান কিছুটা কমান। এড়াতে পারেননি পরাজয়। ৭৭ রানে হেরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরু হয়েছে টাইগারদের।
কলম্বোতে ওয়ানডে অধিনায়কত্বে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। তবে লম্বা মেয়াদে নেতৃত্বের অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি মিরাজ। লঙ্কানদের বিপক্ষে পরাজয়ের পর ব্যাটিং ধসকে দায় দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি উইকেট বদলে যাওয়ার কথাও তুলেছেন।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মিরাজ প্রথমে বোলারদের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, ‘উইকেট ভালো ছিল, আমরা খুব ভালো বোলিং করে শুরুর দিকে উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। তবে ইনিংসের মাঝামাঝি সময় আমরা তেমন ভালো বোলিং করতে পারিনি। আসালাঙ্কা যেভাবে খেলেছেন তার জন্য তাকে কৃতিত্ব দিতে হবে, অসাধারণ খেলেছেন। যদি আমরা মাঝের ওভারে উইকেট পেতাম, তাহলে আমরা ফিরে আসতাম। এখানে খুব গরম ছিল। দুই গুরুত্বপূর্ণ বোলারের (মোস্তাফিজুর রহমান এবং তানভীর ইসলাম) ক্র্যাম্প হয়েছিল।
নাজমুল হোসেন শান্তর রানআউটটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়, মন্তব্য মিরাজের। বলেছেন, শান্ত ও তানজিদ সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছিলেন। কিন্তু সেই রানআউট খেলাটিকে তাদের পক্ষে ঘুরিয়ে দেয়। আমার মনে হয় পরপর দুই উইকেট হারানো আমাদের জন্য ক্ষতিকর ছিল। শেষদিকে আমাদের একটা জুটি ছিল, কিন্তু তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।’
শ্রীলঙ্কার রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চারিথ আসালাঙ্কা। অধিনায়কের সেঞ্চুরির ১০৬ রানের সুবাদে ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে ভালো শুরুর পর খেই হারায় বাংলাদেশ। অলআউট হয় ১৬৭ রানে, শ্রীলঙ্কা জয় পায় ৭৭ রানে।