রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশি হয়েছে আঞ্চলিক সড়কে, এর সংখ্যা ২ হাজার ৭৩৬টি। এটি মোট দুর্ঘটনার ৩৯ শতাংশের বেশি। আর ২ হাজার ৩৫৭টি হয়েছে জাতীয় মহাসড়কে, ৯৭২টি গ্রামীণ সড়কে, ৭৮৪টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার ধরন, যানবাহন ও এর সংখ্যা এবং সময়
দুর্ঘটনার মধ্যে সবেচয়ে বেশি হয়েছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ২ হাজার ৯০৮টি। এ ছাড়া ১ হাজার ৫২৭টি মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ১ হাজার ৫৬২টি পথচারীকে চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ৭৮২টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৪৮টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
রোড সেফটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো পণ্যবাহী যানবাহন। এর পরেই আছে মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি), যাত্রীবাহী বাস, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্রা-টমটম) ইত্যাদি।
২০২৪ সালে দুর্ঘটনাকবলতি যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৯৬টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো পণ্যবাহী যানবাহন, ৩ হাজার ১৪৫টি। মোটরসাইকেলের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৮।
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে সকালে, ১ হাজার ৮৭৪টি। আর রাতে হয়েছে ১ হাজার ৫৪৮টি।