যশোর, ১১ মে – ঝিকরগাছায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতের বড়ভাই গুরুতর জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় রোববার (১১ মে) থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে, শনিবার উপজেলার ছুটিপুর বাজারের জামতলা মোড়ে বিকেল ৫টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহতের নাম আশাদুল হক আশা (৪০)। তিনি বালিয়া গ্রামের মৃত আতাউল হকের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর জখম নিহতের বড় ভাই মহিদুল ইসলাম যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ এজাহারনামীয় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ওলিয়ার, সাহাঙ্গীর, রাকিব, জনাব আলি, আরব আলী ও আহমেদ আলী। তাদের বাড়ি ছুটিপুর, কাগমারি, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায়। তারা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছাড়েন নিহত আশা। গত ৫ এপ্রিল তিনি ওমান থেকে এলাকায় ফেরেন। শনিবার বিকেলে জামতলা মোড় স্থানীয় বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মহড়া বের করেন আশা ও তার ভাই মহিদুল। এ সময় বিপ্লবের নেতৃত্বে বিএনপির অপর একটি গ্রুপ বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় হামলায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হন আশা ও মহিদুল।
প্রত্যক্ষদর্শী মহিদুল ইসলামের ছেলে শান্ত ইসলাম বলেন, জামতলা বাজারে সংঘর্ষের সময় ৫০ জনের মতো ছিল। আমার বাবা ও চাচাকে মোহন, নসু, বিপ্লব, সাদ্দামসহ পাঁচজন মিলে কুপিয়ে আহত করেন। পরে তাদেরকে ভ্যানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে পাঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আটলিয়া গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে জামতলা বাজারে বিএনপির দুই গ্রুপের উত্তেজনা চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরেই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড ঘটে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, বাজার দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ১১ মে ২০২৫