যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বাধা সামাজিক কুসংস্কার

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বাধা সামাজিক কুসংস্কার

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২৮ শতাংশ যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁদের চিকিৎসা গ্রহণ ও সেবাচক্রের প্রথম তিনটি পর্যায়ে কুসংস্কারের প্রভাব অনুভব করেন। তাঁদের পরিবারের প্রায় ২২ শতাংশ সদস্য কুসংস্কারের সম্মুখীন হন। এ ছাড়া ১৪ ভাগ যক্ষ্মা রোগী ও তাঁদের পরিবারের ১১ শতাংশ সদস্য বাড়িতেও কুসংস্কার অনুধাবন করেন।

গবেষণায় আর্থসামাজিক বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়। তা থেকে জানা যায়, যক্ষ্মার কুসংস্কার নারীদের বেশ প্রভাবিত করে। এতে নারীরা সামাজিকভাবে অসম্মান, হয়রানি ও আর্থিক অসুবিধায় পড়েন।

গবেষণাটি বাংলাদেশে যক্ষ্মা নিয়ে কুসংস্কারের ব্যাপক প্রভাবকে তুলে ধরে এটিকে যক্ষ্মার সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এতে কুসংস্কারের কাঠামোগত ও সামাজিক কারণগুলো মোকাবিলা করতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়, যা মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকে শক্তিশালী করবে।

Scroll to Top