মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই খুশির হাওয়া আহমেদপুরে…! হঠাৎ কী কারণ?

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই খুশির হাওয়া আহমেদপুরে…! হঠাৎ কী কারণ?

Last Updated:

Birbhum News: গত মাসে বীরভূম সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেন, তারই মধ্যে একটি আমোদপুরের সুগার মিল, কী ঘোষণা করেছেন তিনি!

+

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই খুশির হাওয়া আহমেদপুরে…! হঠাৎ কী কারণ?

সুগার মিল

বীরভূম: বীরভূমের লালমাটির জেলায় কর্মসংস্থানে নজর দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা সফরে এসে তা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট করেছেন, দেউচা পাচামিতে কয়লা শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। সেইসঙ্গে সাঁইথিয়া ব্লকের আহমদপুরে পড়ে থাকা সুগার মিলের জমিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যে জেলার প্রশাসনিক কর্তারা ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু হতে চলেছে।

জেলার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষিত যুবকরা নতুন কর্মসংস্থানের আশায় মুখিয়ে রয়েছেন। রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ইতিমধ্যে এস্টিমেট করে অর্থদফতরে পাঠানো হয়েছে।

পুজোর আগেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।  এরপর দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। প্রসঙ্গত বাম আমলেই আহমদপুরে জেলার একমাত্র সুগার মিলে তালা ঝুলেছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই সুগার মিলের জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই জমি এবার নতুন করে কাজে লাগিয়ে জেলায় কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

এক্ষেত্রে এসআরডিএর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডলেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তিনিই প্রথম ওই বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছিলেন। বীরভূম সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কথা জানান। এরপর রাজ্য সরকার আর দেরি করেনি।

ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সুগার মিল চত্বরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার জন্য প্রশাসনিক তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রাথমিকস্তরের সেই কাজে আরও কিছুটা গতি এল বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫৪ একর জমির উপর রয়েছে ওই সুগার মিলটি। সুবিশাল ওই জমির মধ্যে ১১একর জায়গায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার জন্য চিহ্নিত হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের কর্তারা জমি পরিদর্শন করেছেন। সেইসঙ্গে জমির হস্তান্তর প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা।

Scroll to Top