মনীষা, বিবেকবোধ ও লেখনী তাঁকে উচ্চস্তরে পৌঁছে দিয়েছে

মনীষা, বিবেকবোধ ও লেখনী তাঁকে উচ্চস্তরে পৌঁছে দিয়েছে

ড. আকবর আলি খানের চলে যাওয়ায় দেশের নাগরিক ও সুধী সমাজে একটি বড় শূন্যতা তৈরি হলো। তিনি এমন একজন বিরল দৃষ্টান্তের কীর্তিমান ব্যক্তি, যিনি নানা সময়ে নানা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন এবং সব ক্ষেত্রেই অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। কর্মজীবনের বেশির ভাগ সময় সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদের দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন; কিন্তু শুধু সে পরিচয়ে তিনি আবদ্ধ থাকেননি। তাঁর মনীষা, বিবেকবোধ ও লেখনী তাঁকে পেশাগত মর্যাদা ও জ্ঞানমনস্কতার অনেক উচ্চস্তরে পৌঁছে দিয়েছে।

আকবর আলি খানকে প্রথম জেনেছি ১৯৬৫ সালে, আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। তিনি তখন সদ্য ইতিহাস বিভাগের প্রবাদতুল্য মেধাবী ছাত্র হিসেবে রেকর্ড নম্বরসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে গবেষণা করে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। এই শিক্ষা ও গবেষণা তাঁকে একজন ইতিহাসের অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন ও সমাজসচেতন অর্থনীতিবিদ হতে সাহায্য করেছে, যা তিনি তাঁর কর্মজীবনের সব ক্ষেত্রে সফলভাবে প্রয়োগ করেছেন।

Scroll to Top