মে মাসের ১৩ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর।
আরব নিউজ জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে ট্রাম্প শুক্রবার রোম যাবেন।
গাজা পরিস্থিতি, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান, এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়ে আরব দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ট্রাম্পের সফরসূচিতে ইসরায়েলের নাম না থাকায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ সফরে গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে আরব লিগের অবস্থান এবং মার্কিন প্রশাসনের মতপার্থক্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। অর্থনৈতিক সম্পর্কও এই সফরের আরেকটি বড় এজেন্ডা হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় উপসাগরীয় ধনী দেশগুলো তাদের অর্থনীতি ও বিনিয়োগে আরও বেশি ভূমিকা নিক।
ট্রাম্প প্রশাসন অনেক আগে থেকেই এ লক্ষ্যে কাজ করছে। তেহরান-ওয়াশিংটনের সংলাপে আরব দেশগুলোর ইতিবাচক মনোভাব থাকলেও, আলোচনা ভেস্তে গেলে ট্রাম্প হয়তো আবারও ইরানের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগে মিত্রদের সমর্থন চাইবেন।