বেরোনোর দরজাগুলো কিন্তু নতুন কোনো জগতে ঢোকার রাস্তাও হতে পারে

বেরোনোর দরজাগুলো কিন্তু নতুন কোনো জগতে ঢোকার রাস্তাও হতে পারে

এই মঞ্চ, এই ভবনের একটা ইতিহাস আছে। শেষবার এই মঞ্চে গেয়েছিল স্লাই অ্যান্ড দ্য ফ্যামিলি স্টোন, এখানেই ভেঙে গেছে তাঁদের ব্যান্ড। ব্রিটনি (স্পিয়ার্স), ম্যাডোনা আর ক্রিস্টিনা (অ্যাগুইলেরা) এই মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছেন। এই মঞ্চেই আমি প্রথম ‘আলাস্কা’ গেয়েছিলাম। ডেভিড বোয়ি, বিয়ন্সে, বহু বিখ্যাতজন এই স্পটলাইটের নিচে এসে দাঁড়িয়েছেন। আজ তোমরাও সেই ইতিহাসের অংশ।

৯ বছর আগে যখন তোমাদের আসনে বসে ছিলাম, মনে আছে আসন্ন পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে আমার ভয় হচ্ছিল। ভাবছিলাম, যদি জনপ্রিয়তা পেয়ে বসে, আমি কি সেই একই ম্যাগি থাকব? হ্যাঁ, বদলে তো গেছিই। যত নতুন নতুন সৃষ্টি করবে, তত বদলে যাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এটাই তো হওয়ার কথা। এই যাত্রায় শুধু নিজের কাছে সৎ থেকো।

৯ বছর আগের আমির সঙ্গে আজ দেখা হলে বলতাম, তোমার কাজ হলো শুধু হৃদয়-মন দিয়ে আশপাশটাকে অনুভব করা। বলতাম, তোমার শ্রোতাদের দেখে রেখো, বন্ধুর মতোই। বেশি করে পানি খেয়ো, সানস্ক্রিন মাখতে ভুলো না। শিল্পের মূলনীতিটা তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিতাম—মুখে না বলে দেখিয়ে দাও। সংখ্যায় কিছু যায় আসে না। দিন শেষে তোমার গান শুনে লোকে কী অনুভব করছে, সেটাই বড়।

আজ যখন অনুষ্ঠান শেষ হবে, পেছনের ওই এক্সিটগুলোর যেকোনো একটা দিয়েই তুমি বেরোবে। কিন্তু ভুলো না, বেরোনোর দরজাগুলো কিন্তু নতুন কোনো জগতে ঢোকার রাস্তাও হতে পারে। এখন শুধু এ মুহূর্তগুলোকে জড়িয়ে ধরো। কারণ, যখন একবার বেরিয়ে যাবে, যে কথাগুলো বলতে চেয়েছিলে, সেগুলো না বলাই থাকবে।

ইংরেজি থেকে অনূদিত

Scroll to Top