প্রায় সাত মাস যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। দেশে ফিরেই একমাত্র সন্তান জায়ান ফারুক আয়াশকে দিতে চেয়েছিলেন এক অবিস্মরণীয় চমক।
বাড়িতে ফিরে সরাসরি ছেলের ঘরে ঢুকলেন তিনি। দেখেন, আয়াশ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বাবার স্নেহমাখা স্পর্শে ঘুম ভাঙতেই চোখ মেলে প্রিয় মানুষটিকে দেখে আবেগে ভেসে যায় আয়াশের মুখ। বাবা-ছেলের সেই নিখাদ ভালোবাসার মুহূর্ত বন্দি হয় অপূর্বর ক্যামেরায় এবং তিনি সেটি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কিন্তু সেই আবেগঘন ভিডিওকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় কিছু ভিত্তিহীন মন্তব্য ও নেতিবাচক আলোচনা। ভুয়া শিরোনাম ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন অপূর্ব এবং আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
৮ আগস্ট নিজের ফেসবুক পেজে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে অপূর্ব লেখেন— “কিছু মানুষের সত্য-মিথ্যার বোধ নেই, ন্যূনতম সম্মানবোধও নেই। কিছু মানুষের গসিপ আর মিথ্যার কারখানা সমাজকে বিষাক্ত করে। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা নিয়েও চলে নোংরা বিচার ও আজেবাজে মন্তব্য। এটা শুধু লজ্জাজনক নয়, চরম অমানবিকও।”
এসময় অপূর্ব বলেন, “যাদের মস্তিষ্ক ও হৃদয়ে নেগেটিভিটির ক্যান্সার, তাদের কাছে বাবা-মায়ের ভালোবাসা প্রমাণ করার দরকার নেই। প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছে তার সন্তান জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ—তার প্রতিটি হাসি, কান্না ও অর্জন পিতা-মাতার জীবনকে অর্থবহ করে তোলে। তাই অন্যের সন্তান নিয়ে মনগড়া মন্তব্য করার আগে ভেবে নিন। সত্য না জানলে নীরব থাকুন। কারো সন্তানের জীবন আপনার কনটেন্ট তৈরির ‘আইটেম’ নয়।”
এছাড়া তিনি জানান, ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনজনকে শনাক্ত করে আনা হয়েছে এবং বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
অপূর্ব বলেন, “যারা পিতা-পুত্রের ভালোবাসার মধ্যেও অন্য কিছু খুঁজে, তারা শুধু মানুষ নয়, সমাজের জন্যও বিপজ্জনক। মিথ্যা গল্প বানিয়ে ভিউ পাওয়ার জন্য সাধারণকে বিভ্রান্ত করেছে এসব ভুঁইফোড় ইউটিউব চ্যানেল ও পেজ। বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রতি কৃতজ্ঞতা, এত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”
এসময় অপূর্ব সবাইকে আহ্বান জানান একটি সুস্থ ও ইতিবাচক সমাজ গড়ে তোলার জন্য।
আরো পড়ুন:২৩০ দিন পর দেশে ফিরলেন অপূর্ব!