বাংলালিংক এসডিজি হ্যাকাথন ‘কোড ফর এ কজ’-এর তৃতীয় আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাপলিংক-এর সহযোগিতায় এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছে। কর্মসূচিতে তরুণদেরকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) সংক্রান্ত সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানে উৎসাহ দেওয়া হয়।

২৪ ঘণ্টাব্যাপী প্রতিযোগিতা শেষে বাংলালিংক-এর বিচারক প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে হ্যাকাথনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

সারাদেশ থেকে আগ্রহী তরুণরা অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে বাংলালিংক এসডিজি হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করে। তরুণদের জমা দেওয়া প্রোটোটাইপ সমাধানগুলির কার্যকারিতা বিবেচনা করে নির্বাচন করা হয় মোট ১৫টি দল। এরপর তাদেরকে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী একটি হ্যাকাথন ইভেন্টে কর্পোরেট সংস্কৃতি, মানসম্পন্ন শিক্ষা, জলবায়ু সচেতনতা, লিঙ্গ সমতা, বিনোদন ও গেমিং সংক্রান্ত বিভিন্ন এসডিজি সমস্যার প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। টিম ইলেক্ট্রিক, টিম উবারমেনস, এবং টিম ফার্মএক্সকে তাদের উদ্ভাবনী সমাধানের জন্য যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন, ফার্স্ট রানার্স আপ, সেকেন্ড রানার আপ হিসাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তিনটি বিজয়ী দলকে আকর্ষণীয় পুরস্কার ও বাংলালিংক-এর সাথে বিশেষ অংশীদারিত্বের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অ্যাপলিংক প্ল্যাটফর্মে তাদের অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবে তারা। এছাড়াও বিজয়ীরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সাথে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ পাবে।

বিটিআরসি-এর সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, “এটি অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার যে, তরুণ অ্যাপ ডেভেলপাররা উদ্ভাবনী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসছে। বাংলালিংক এসডিজি হ্যাকাথনের মতো উদ্যোগ আমাদেরকে একটি উজ্জ্বল ও আরও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমি সকল বিজয়ীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।“

বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “এসডিজি চ্যালেঞ্জের উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার একটি কার্যকর উপায় হলো সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়ার সাথে তরুণদেরকে সম্পৃক্ত করা। বাংলালিংক গত কয়েক বছর ধরে এই উদ্দেশ্য নিয়ে সফলভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। আমি বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাই, এবং আশা করি যে তারা এই আগ্রহ ও উৎসাহের সাথে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে থাকবে যা সার্বিকভাবে সমাজের জন্য মঙ্গলজনক।”