‘বাংলাদেশকে ভিন্নভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ’ | চ্যানেল আই অনলাইন

‘বাংলাদেশকে ভিন্নভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ’ | চ্যানেল আই অনলাইন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ২৫ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরের মঞ্চে হয়ে গেল জমকালো অনুষ্ঠান। যে আয়োজনে বাংলাদেশের শিল্পীদের পরিবেশনা ছিলো অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।

অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেল সপ্তাহেই প্যারিসে পৌঁছান বাংলাদেশের একদল শিল্পী। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তীর এই অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হন এবং তিনি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

২১ ফেব্রুয়ারি মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ইউনেস্কো সদর দপ্তরের মঞ্চে বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ফারুকী।

শনিবার নিজের ফেসবুকে বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনকালীন বেশকিছু ছবি পোস্ট করে তিনি তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ফারুকী লিখেন,“অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সব শিল্পীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। শূন্যের মহাজন, সেজান- পালাকারের ৫২ ফিচারিং ২৪, পারশা-টুনটুন বাউলের ঘোর লাগা ‘জাত গেলো’, পিংকি-পারশার গাওয়া বাংলাদেশর চার ভাষায় গাওয়া ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ মুগ্ধ করেছে সবাইকে। বাংলাদেশকে ভিন্ন ভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।”

এসময় তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান নির্মাতা তানিম নুর এবং মিউজিশিয়ান জাহিদ নিরবের প্রতি।

২১ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে প্রখ্যাত গবেষক, লেখক, তাত্ত্বিক ও কমিউনিস্ট নেতা বদরুদ্দীন উমরের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়ে। এ বিষয়ে ফারুকী বলেন,“বদরুদ্দীন উমর যে সাংস্কৃতিক রাজনীতির কথা বলতেন, যে লেন্সে ফেলে ইতিহাসের বিশ্লেষণ করতেন সেটা বহু গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অলক্ষ্যে জ্বালানী দিয়েছে। ২৪-ও তার বাইরে না। ইউনেস্কোতে আমাদের গতকালকের কালচারাল ইভেন্ট শুরু হয়েছে উমর ভাইয়ের সাক্ষাৎকারের শট দিয়ে। খুবই ছোট্ট একটা ক্লিপ, কিন্তু একটা সিগনিফিক্যান্স আছে আমাদের কাছে। উমর ভাইদেরকে সাইডলাইন করে, যে ফেইক শিশুতোষ বুদ্ধিজীবিতা বাংলাদেশে মেইনস্ট্রিম করে তোলা হয়েছিলো এই পাপের ফল আমরা এক দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের মধ্য দিয়ে ভোগ করেছি। যাই হোক, স্মৃতি নাকি হারিয়ে যায়। সেটা যেনো না হারায় সেজন্য কালকের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি তোলা থাকলো এখানে।”

এসময় এই অনুষ্ঠান সফল করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ফারুকী বলেন,“ধন্যবাদ প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসকে, পুরো জিনিসটা বাস্তব করে তোলার জন্য। ধন্যবাদ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আমার সব কলিগকে। আজকে হয়তো খুলে বলবো না। কিন্তু একসময় বলবোই। এই অনুষ্ঠান সফল করার জন্য আমার কোনো একজন কলিগ ব্যক্তিগতভাবে এমন একটা কাজ করেছেন যেটা কোনো সরকারী কর্মকর্তা করবেন কিনা আমি জানিনা। আমাদের যেমন খারাপ অফিসার নিয়ে কাজ করতে হয়, তেমনি এরকম অবিশ্বাস্য রকম নিবেদিত অফিসার নিয়েও আমরা কাজ করতে পারি বলেই অল্প হলেও কিছু কাজ করতে পারছি।”

১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে পালিত হয়ে আসছে। এ বছর এই গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতির রজতজয়ন্তী উদযাপন করা হয়।

Scroll to Top