যদি ঘরের দেয়াল আগে থেকেই ড্যাম্প থাকে তাহলে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই কালার টোনিং করিয়ে নিন। এদিকে ঘরের দেয়ালের স্যাঁতসেঁতে ভাব প্রতিরোধে পেছনের দিকে পানির উৎস আছে, এমন দেয়ালের পুরোটাই টাইলস করা হলে সবচেয়ে ভালো হয়। বাজেট কম থাকলে দেয়ালে প্লাস্টিক উড লাগিয়ে নিতে পারেন। সাধারণত যেসব ছাদে বাগান আছে সেসব জায়গায় কোনো কারণে পানি জমলে ছাদের সরাসরি নিচের ফ্লোর এবং শুধু একতলা ও দোতলার দেয়ালগুলো স্যাঁতসেঁতে হয়। মাঝখানের ফ্ল্যাটগুলোর দেয়াল আবার স্বাভাবিক থাকে। এর কারণ হলো পানি সব সময় নিচের দিকে নেমে আসে। বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে পানি দেয়ালের ভেতর দিয়ে এসে নিচতলা বা দোতলার দেয়ালগুলো স্যাঁতসেঁতে করে তোলে। এ জন্য যাঁদের বাড়ির ছাদে স্থায়ী বাগান আছে, তাঁরা প্রথম বা দ্বিতীয় তলায় ড্যাম্প প্রুফিং রাসায়নিক লাগাতে পারেন। এটি বাজারে এখন সহজলভ্য।
বর্ষাকালে অনেকের বাসার কাঠের আসবাবে ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দেয়। এ জন্য কাঠে পচন দেখা দেয়। অনেক সময় আবার আর্দ্রতা শোষণ করে কাঠগুলো ফুলে ওঠে। এ সময় কাঠের আসবাব দেয়াল থেকে ছয় ইঞ্চি দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এই আবহাওয়ায় আসবাবপত্রে ঘুণ ধরতে দেখা যায়। নিমপাতা, নিমের তেল, কর্পূর, স্পিরিট একসঙ্গে মিশিয়ে একটা স্প্রে বানিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। আসবাবে ঘুণ ধরলেই স্প্রে করে দিন।
বর্ষাকালে বৃষ্টি পড়লেই মেঝেতে ভেজা ভেজা ভাব থাকে। ভেজা কাপড় দিয়ে তো মেঝে পরিষ্কার করবেনই, তবে এ সময় মেঝে স্যাঁতসেঁতে হলেই শুকনা কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন। কারণ, ভেজা মেঝে জীবাণু আর ছত্রাক বাড়ায়।