এবারও পরাজয় দিয়েই বিপিএল শুরু করেছে বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকা’র কাছে হেরেছে ৫ উইকেটে। পরাজয় স্বাভাবিকভাবে খারাপ লাগার হলেও প্রথম ম্যাচ হারলেই নাকি কুমিল্লা লাকি। দলটির কোচ সালাউদ্দিন নাকি বলেছেন এমনটা। আর তাই জানিয়েছেন দলটির অধিনায়ক লিটন দাস।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে কুমিল্লা। জবাবে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত ১৯.৩ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ঢাকা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বিপিএলে প্রথমবার অধিনায়কত্ব করা লিটন জানান এমনটা। বলেছেন, “দেখেন, প্রত্যেকটা হারই তো কষ্টের। প্রথমবার অধিনায়কত্ব করছি, আমি তো চাইবো প্রথম ম্যাচ জিততে। এদিকে দিয়ে তো অবশ্যই খারাপ লাগবে যে, প্রথম অধিনায়কত্বের ম্যাচে হেরে গেছি। একই সঙ্গে মনের ভিতর এটাও থাকে যে কুমিল্লা সবসময়ই প্রথম ম্যাচ হারে। আমি স্যারের (সালাউদ্দিন) সঙ্গে সেদিনও কথা বলছিলাম, স্যার বলছিল ‘আমরা প্রথম ম্যাচ এমনেই হেরে যাই।’ আর হারলেই নাকি স্যারের জন্য লাকি।’
হারলেও দলের দুর্বল ও শক্তিশালী জায়গাগুলো খুঁজে পেয়েছে কুমিল্লা। সেই সঙ্গে বোলারদের পারফরম্যান্সেও খুশি লিটন। বলেছেন, ‘একটা জিনিস আমাদের ভালো হইছে, একটা মোটামুটি স্কোর করেও আমাদের বোলাররা দেখিয়েছে যে আমরাও পারি। পুরো দলটা দেখতে পারলাম, কোন জায়গায় দুর্বলতা আছে, কোন জায়গায় শক্তিশালী। এখন আমরা বসে আলোচনা করে জিনিসটা তৈরি করতে পারবো। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে আশা করি ভালো কিছু হবে।’
ম্যাচে খুব বেশি রান না হলেও মিরপুরের উইকেটকে ভালোই বলেছেন লিটন। সে সঙ্গে দলের টপঅর্ডাররা যদি আরও কিছু রান বেশি করতো তাহলে দৃশ্যটা ভিন্ন হতে বলেও মনে করছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। বলেছেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম মনে হয়েছে, উইকেটটা ভালো। পেস বোলারদের সামলানো একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল, কিন্তু স্পিনারদের খুব একটা কঠিন ছিল না। একই সঙ্গে আমাদের টপঅর্ডার ব্যাটাররা লম্বা সময় ব্যাটিং করছে তারা যদি আরও ১০-২০টা রান দ্রুত তুলতে পারতো তাহলে ভালো হতো। তবে সংগ্রহ খারাপ ছিল না, ফাইটিং স্কোরই ছিল।’
‘যারা উপর থেকে ব্যাটিং করেছে, তারা যদি আরও একটু ভালো ফিনিশটা দিয়ে আসতো, হৃদয় বা কায়েস ভাইয়ের মধ্যে যদি কেউ ২০টা রান বাড়তি করে দিয়ে আসতো ১০ বল খেলে তাহলে দৃশ্যটা অন্যরকম থাকতো। তবে কায়েস ভাই অনেকদিন পর এসে রান করছে এটা আমাদের জন্য ভালো ব্যাপার।’
ফিফটি মিসের হতাশা নিয়েই এদিন মাঠ ছাড়েন তাওহীদ হৃদয়। ১ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ বলে ৪২ রান করে ফিরে যান তাসকিনের শিকার হয়ে। তবে বলের তুলনায় রানটা কম হলেও হৃদয়ে ভরসা রাখছে কুমিল্লা। অধিনায়ক লিটন জানালেন তা। বলেন, ‘দেখেন, একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি যখন প্রথম কলেই একটা খেলোয়াড়কে নেয় তখন তাকে পুরো মৌসুম খেলানোর চিন্তাই করে। কোনো সন্দেহ নেই, হৃদয়কে বাদ দেয়ার কোনো সুযোগই নেই। সে প্রমিজিং খেলোয়াড়, জাতীয় দল আর লাস্ট বিপিএলেও সে সফল। ইনফ্যাক্ট সে আজকেও ভালো খেলেছে। আশা করি পরের ম্যাচ থেকেও ভালো খেলবে।’