পোড়া স্কুটার দেখে শঙ্কা, ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত চলচ্চিত্র নির্মাতার মৃত্যু

পোড়া স্কুটার দেখে শঙ্কা, ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত চলচ্চিত্র নির্মাতার মৃত্যু

আহমেদাবাদে ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন গুজরাটি চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ কালাওয়াডিয়া, যিনি মহেশ জিরাওয়ালা নামেও পরিচিত ছিলেন। তার স্ত্রী হেতাল দাবি করেছিলেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, তিনি বিমান দুর্ঘটনার সময় রাস্তায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে থাকতে পারেন। এখন সে খবর আনুষ্ঠানিক হল, ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর।

মহেশ বিমানে ছিলেন না, বরং সেই ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন যাদের উপর বিমানটি এসে পড়েছিল। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া পোড়া স্কুটার দেখেই প্রথমে আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে তিনি দুর্ঘটনার দিন শাহিবাগের কাছে নিখোঁজ হয়েছেন এবং মারা গিয়েছেন।

অনেক গুজরাটি মিডিয়া পোর্টাল অনুসারে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মহেশ জিরাওয়ালার সেই পুড়ে যাওয়া অ্যাক্টিভা স্কুটারটি উদ্ধার করা হয়েছে, যা দুর্ঘটনায় তার মারা যাওয়ার সন্দেহকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। পরে ডিএনএ পরীক্ষার পর, মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।

ওই পরিচালকের পরিবার তার পরিবার প্রথমে তার মৃতদেহ গ্রহণ করতে রাজি ছিলেন না, কারণ কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না যে, মহেশের মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু পুলিশ যখন এক্টিভার চ্যাসিস নম্বর এবং ডিএনএ রিপোর্ট সহ অনেক প্রমাণ উপস্থাপন করে, তখন পরিবারকে মেনে নিতে হয় যে সেই মৃতদেহ মহেশেরই।

কে ছিলেন মহেশ জিরাওয়ালা?
মহেশ জিরাওয়ালা গুজরাটের নরোদা, আহমেদাবাদ শহরের বাসিন্দা ছিলেন। মহেশ বিজ্ঞাপন এবং মিউজিক ভিডিও পরিচালনার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি মহেশ জিরাওয়ালা প্রোডাকশন্সের সিইও ছিলেন। তার পরিচালনায় অনেক মিউজিক ভিডিওর কাজ হয়েছে, যা মূলত গুজরাটি ভাষায় তৈরি। তিনি ২০১৯ সালের সিনেমা ‘ককটেল প্রেমী প্যাগ অফ রিভেঞ্জ’-এরও পরিচালনা করেছিলেন, যেখানে আশা পাঁচাল এবং বৃতি ঠাক্কর মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। মহেশ তার পিছনে স্ত্রী হেতাল এবং দুই সন্তানকে রেখে গিয়েছেন।

Scroll to Top