জঙ্গি সহিংসতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং স্বচ্ছতার নানান প্রশ্ন নিয়ে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে কোনো দলই সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তান বর্তমানে অসংখ্য সমস্যার দ্বারপ্রান্তে। আর চলমান এই অস্থিরতার মধ্যেই নওয়াজ শরীফ এবং ইমরান খান, নিজের দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।
খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থীকে জাতীয় পরিষদে সংরক্ষিত আসনসহ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা ১৬৯টি আসনে জয়ী দেখাতে হবে। দেশটির জাতীয় পরিষদ ৩৩৬ টি আসন নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ২৬৬টি আসনে জনগণ সরাসরি ভোট দেন এবং বাকি ৭০টি সংরক্ষিত আসন যার মধ্যে ৬০টি নারী আর বাকি ১০টি অমুসলিমদের জন্য।
দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে জয় লাভ করেছেন। এরপর আছেন নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। তবে কোন দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে চারটি ঘটনার যে কোন একটি ঘটতে পারে পাকিস্তানে।

নওয়াজ শরীফ জোট সরকার গঠনের জন্য চুক্তি করবে
নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন ৭৩টি আসন জয় লাভ করেছে। তিনি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে ৫৪টি আসনে জয়ী হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাথে একটি চুক্তি করতে পারেন। এরপর জয়ী হওয়া আরও কিছু দলের সাথে মিলে একটি জোট সরকার গঠন হতে পারে। যেখানে নওয়াজ শরীফ বা তার ভাই প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য দলের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে।
ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অন্য দলে যোগ
ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জয় লাভ করেছে। সংসদে সংরক্ষিত আসন পেতে তারা ছোট কোন একটি দলে যোগ দিতে পারে। এটি তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী পদে ভুট্টো জারদারি
নওয়াজ শরীফ ও ইমরান খানের প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হলেও পিপিপি ছাড়া কোনো দল সরকার গঠন করতে পারবে না। এক্ষেত্রে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শর্তে যে কোন এক দলের সাথে জোট গঠন করতে পারেন।
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ
কেউ এককভাবে সরকার গঠন করতে না পারায় অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে। দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সংগঠিত শক্তি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের অজুহাতে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে। কারণ এরকম কিছু এর আগেও ঘটেছে।