ইসলামাবাদ, ১২ মার্চ – পাকিস্তানে জিম্মি হওয়া সেই ট্রেনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৮০ জন বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ, ২৬ জন নারী ও ১১ শিশু রয়েছে বলে নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে ওই ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেয়া সন্ত্রাসীদের চারপাশ থেকে ঘেরাও করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত যাত্রীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভিযান শুরুর পর জঙ্গিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছে নিরাপত্তা সূত্র। এই ট্রেন জিম্মি ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেছে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)।
এর আগে, বন্দুকধারীরা ট্রেনে ওঠার আগে রেললাইনে বোমা হামলা চালায় বলে দাবি করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, জঙ্গিরা দ্রুত ট্রেনটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং সব যাত্রীকে জিম্মি করে। হামলার পেছনে সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সাথে যোগাযোগ করছে এবং নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। সেখানে বেসামরিক লোকদের উপস্থিতির কারণে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে অভিযান চালানো হচ্ছে।
নিরাপত্তা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় জাফফার এক্সপ্রেসটি। ওই সময় বেশ কিছু জঙ্গি রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন যাত্রী ছিল। এলাকাটি দুর্গম অঞ্চলে হওয়ায় অভিযানটি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ট্রেনটির যাত্রীদের জিম্মি করা হয়েছে সেখানে একটি টানেল রয়েছে এবং এটি আফগান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
এনএন/ ১২ মার্চ ২০২৫